মমতা 'ঈর্ষা' করতে শুরু করেছেন! বিশ্বভারতী ইস্যুতে জেপি নাড্ডার নয়া টুইটে কোন ইঙ্গিত
বিশ্বভারতীর শতবর্ষে মমতার অনুপস্থিতি নিয়ে বিজেপি- তৃণমূল দ্বৈরথ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর দাবি, আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। এরপর বিজেপি সেই আমন্ত্রণ পত্রের ছবি প্রকাশ করে পাল্টা মমতাকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তুমুল তোপ দাগেন।
নাড্ডার টুইট তোপ
জেপি নাড্ডা পশ্চিমবঙ্গে এসে ভবানীপুরের সভা থেকে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে একাধিক বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই প্রেক্ষাপটে নাড্ডা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন, অভিযোগ তুলে সরব হতে থাকে তৃণমূল। এরপর রবীন্দ্র সংস্কৃতি নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরে জেপি নাড্ডা বিশ্বভারতী ইস্যুতে মমতাকে খোঁচা দেন। ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , যে দ্বেষ, অহংকার, মিথ্য়ার রাস্তায় আছেন, তা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের আর স্বামী বিবেকানন্দের সংস্কৃতি নয়। এটি সুভাষ চন্দ্র বসু বা শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সংস্কৃতি নয়। এটি বাংলার সংস্কৃতি নয়। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। '
মমতা 'ঈর্ষা' করছেন !
জেপি নাড্ডার দাবি,মমতা ঈর্ষা করতে শুরু করেছেন। আর সেই ঈর্ষা, বিদ্বেষের জেরে মমতা বিশ্বভারতীর শতাব্দী সমারোহকে 'বহিষ্কার' করেছেন। এর মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতি ও পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে মমতা ভূলুণ্ঠিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন নাড্ডা। নাড্ডার অভিযোগ এইভাবে মমতা বারবার সাংবিধানিক ক্ষেত্রকে আক্রমণ করেছেন।
বিশ্বভারতী ও রবি রাজনীতি
বিশ্বভারতী ইস্যুতে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একদিকে তৃণমূলের অভিযোগ অন্যদিকে,বিজেপির তরফে এই অনুষ্ঠানে মমতার অনুপস্থিতিকে প্রবল আক্রমণ করা হয়েছে । এমন এক পরিস্থিতিতে নাড্ডার টুইট বিতর্ককে আরো উস্কানি দিতে শুরু করেছে। এর আগে অমিত মালব্যও মমতাকে খোঁচা দিয়ে টুইট করেন বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে।
মমতাকে খোঁচা নাড্ডার
এদিন এক টুইট বাণে, জেপি নাড্ডা বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতি ও বাংলার সংস্কৃতির উপর নরেন্দ্র মোদীর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। এই দর্শনেই দেশ দিশা দেখছে বলে তিনি দাবি করেন। প্রসঙ্গত, বাংলার মন জয় করতে বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে বহু দিন ধরেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। আর তাতে নাড্ডার এই টুইট রীতিমতো তাৎপর্যবাহী।