পাহাড় ইস্যুতে বিরোধ তুঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে, কেন চন্দ্র বসুর সমালোচনা দিলীপ ঘোষের মুখে
চন্দ্র বসু বলেন, গোর্খাল্যান্ড সমর্থন করি না। কিন্তু পাহাড়ের পরিস্থিতি যা, তাতে আর দেরি না করে এক্ষুনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা বলা উচিত।
পাহাড় নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে বিজেপিতে। নেতাজির নাতি তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু পাহাড় নিয়ে মুখ খোলায় তাঁর কঠোর সমালোচনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, 'পাহাড় নিয়ে কথা বলার জন্য চন্দ্র বসু 'অথোরিটি' নন। পাহাড় ইস্যু হোক বা গোর্খাল্যান্ড, যা বলবে রাজ্য বিজেপিই। দু'দিন আগেই পাহাড় নিয়ে মোর্চার সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। চন্দ্রবাবু যা বলছেন, তা পুরোপুরি ঠিক নয়।'
শুক্রবার চন্দ্র বসু বলেন, গোর্খাল্যান্ড সমর্থন করি না। কিন্তু পাহাড়ের পরিস্থিতি যা, তাতে আর দেরি না করে এক্ষুনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা বলা উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে দাবি করেন। কেন্দ্রকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে তিনি।
পাশাপাশি রাজ্যের কাছেও তিনি আবেদন রাখেন পাহাড় ইস্যুতে নমনীয় হয়ে শান্তি স্থাপনে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার জন্য। তাঁর দাবি, পাহাড় ইস্যু স্বাভাবিক করতে কোনও রাজনৈতিক দলই সেভাবে এগিয়ে আসেনি। তিনি বলেন, দিন দিন পাহাড়ের হিংসা দেখে আর চুপ করে বসে থাকা যায় না। তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে মোর্চা নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিজেপি নেতা চন্দ্র বসুর এই মন্তব্যের পরই তাঁর সমালোচনায় মুখর হন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট করে দেন, এ বিষয়ে দলের মুখপাত্র নন চন্দ্র বসু। তিনি যা জানিয়েছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। বিজেপি দু'দিন আগেই দলীয় বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাহাড় ইস্যুতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন। পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর বার্তা দেবেন। এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ও সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।