রিজয়েন্ডার রাজ্যের, 'স্লথ' সিবিআইও! আদালতে পিছিয়ে গেল নারদ মামলার শুনানি
পিছিয়ে গেল নারদ (narad) মামলার শুনানি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (high court) পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নারদ মামলা শুনানির জন্য উঠলে সিবিআই (cbi)-এর তরফে জানানো হয়, সলিসিটর জেনারেল অন্য মামলায় ব্যস্ত। তাই এই মামলার
পিছিয়ে গেল নারদ (narad) মামলার শুনানি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (high court) পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নারদ মামলা শুনানির জন্য উঠলে সিবিআই (cbi)-এর তরফে জানানো হয়, সলিসিটর জেনারেল অন্য মামলায় ব্যস্ত। তাই এই মামলার শুনানি ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। আদালতের তরফে বিচারপতিরা সিবিআইকে ১০ দিনের বদলে ২৮ দিন সময় দেন।
মামলা স্থানান্তরের শুনানি ছিল
মে মাসে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই ১৭ মের সকালে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের গ্রেফতারের খবর পেয়েই, করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বহু তৃণমূল সমর্থক ভিড় জমান নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের কাছে। নিম্ন আদালত তাঁদের জামিন দেয়। সিবিআই-এর তরফে জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। পরে হাইকোর্টের তরফ থেকেই চার হেভিওয়েটকে জামিন দেওয়া হয়। সেই সময় মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে সিবিআই-এর তরফ থেকে এই চার হেভিওয়েটের মামলা ভিন রাজ্যে সরানোর আবেদন করা হয়। সিবিআই-এর হয়ে ওই মামলায় সওয়াল করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অন্যদিকে চার হেভিওয়েটের তরফে আইনজীবী ছিলেন রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল।
রাজ্যের তরফে রিজয়েন্ডার
এদিকে নিজাম প্যালেসে চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতারের পরে সেখান গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। পরবর্তী সময়ে তাঁদের দুজনকেও এই মামলায় যুক্ত করে সিবিআই। সিবিআই-এর তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল ১৭ মে চারনেতাকে গ্রেফতারের পরে নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটক। যার নিয়ে আপত্তি রাজ্য সরকারের। বিষয়টি নিয়ে এদিন হাইকোর্টে রিজয়েন্ডার জমা দেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, নিজাম প্যালেসের গেটের বাইরে যে জমায়েত হয়েছিল, তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক কোনও ভাবেই অংশগ্রহণ করেননি। পাশাপাশি তাঁরা জমায়েতের উদ্দেশে কোনও মন্তব্যও করেননি।
আদালতের কাছে ১০ দিন সময় চেয়ে আবেদন
এদিন শুনানি শুরু হতেই সিবিআই-এর তরফে ডিভিশন বে়ঞ্চের বিচারপতিদের করাছথে ১০ দিন সময় প্রার্থনা করে মামলা পিছনোর আমেদন করা হয়। বলা হয় এই মামলার প্রধান আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অন্য মামলায় ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি এই মামলায় সময় দিতে পারছএন না। তাই শুনানি অন্তত ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় সিবিআই-এর তরফ থেকে। সিবিআই-এর এই আবেদনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেস অনুযায়ী, এই মামলায় অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। সেই কারণে এদিনের আবেদন গ্রহণ করা হলে, পরে আর এই ধরনের কোনও আবেদন শোনা হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। সিবিআইকে ১০ দিনের বদলে ২৮ দিন বাড়তি সময় দেওয়া হয়। জানানো হয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর।
নারদ মামলার গতি স্লথ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন
এদিন
সিবিআই-এর
মামলার
শুনানি
পিছিয়ে
দেওয়ার
আবেদন
গৃহীত
হওয়ার
পরেই
প্রশ্ন
উঠতে
শুরু
করেছে,
যে
হাইপ্রোফাইল
মামলা
নিয়ে
সিবিআই
তৎপরতা
দেখিয়েছে,
সেই
মামলার
শুনানি
কেন
শ্লথ
হয়ে
পড়ল।
কেননা
চার
হেভিওয়েটের
গ্রেফতারির
সময়
থেকে
এতদিন
পর্যন্ত
প্রায়
সবকটি
শুনানিতে
উপস্থিত
থেকে
সওয়াল
করেছেন
তুষার
মেহতা।
তিনিই
কিনা
ব্যস্ত
রয়েছেন
অন্য
মামলায়।
তাহলে
কি
এই
মামলায়
কিছুটা
ব্যাকফুটে
সিবিআই।
তারা
কি
এই
মামলায়
উৎসাহ
হারিয়ে
ফেলেছে,
সেই
প্রশ্ন
উঠতে
শুরু
করেছে।
এই
মামলা
ইতিমধ্যেই
সুপ্রিম
কোর্টে
ঘুরে
ফের
হাইকোর্টে
ফেরত
এসেছে।
সুপ্রিম
কোর্টে
বিচারপতি
অনিরুদ্ধ
বসু
এই
মামলা
থেকে
সরে
দাঁড়িয়েছিলেন।
সেই
পরিস্থিতিতে
আগামী
১৩
সেপ্টেম্বর
হাইকোর্টে
সিবিআই
কী
সওয়াল
করে
এখন
তারই
অপেক্ষা।
প্রশংসার পরেই নবান্নে দিলীপকে আমন্ত্রণ মমতার, তাৎপর্যপূর্ণ জবাব বিজেপির রাজ্য সভাপতির