কুন্তলের বাড়িতে ২২ সালের OMR শিট! কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
কুন্তল ঘোষের বাড়িতে মিলল টেটের ওএমআর শিট! শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট ইডিই পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক
কুন্তল ঘোষের বাড়িতে মিলল টেটের ওএমআর শিট! শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট ইডিই পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তাঁর বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি শেষেই একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারী সংস্থা। আর এরপরেই কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যে দুর্নীতির কথা মেনে নিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
১৮৬ টি ওএমআর শিট তদন্তকারীরা পেয়েছেন
তবে হুগলির তৃণমূল যুবনেতার বাড়িতে তল্লাশিতে বিভিন্ন সময়ের ওএমআর শিট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন বছরের মোট ১৮৬ টি ওএমআর শিট তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে যে টেট নিয়েছে পর্ষদ সেই ওএমআর শিটের কপিও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড সহ নানা তথ্য ইডির আধিকারিকরা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ২০২২ সাল সহ এত ওএমআর শিট এলো কীভাবে? ইতিমধ্যে এই বিষয়ে কুন্তলকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইডিকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করছেন কুন্তল
জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে ইডিকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করছেন কুন্তল। ওএমআর শিটের কপি সামনে রেখে যুবনেতাকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। আর তাতে নাকি সে জানিয়েছে আরটিআই করে নাকি তা পেয়েছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রমাণ্য নথি কুন্তলের কাছে আছে কিনা জানতে চান তদন্তকারীরা। যদিও এই বিষয়ে সঠিক কোনও উত্তর কুন্তল দিতে পারেননি বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি পরীক্ষার্থীদের এত অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে বাড়িতে এল সে বিষয়েও কোনও তথ্য তদন্তকারীদের দিতে পারেননি তৃণমূল যুবনেতা। এমনকি ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
অন্যদিকে কুন্তলের বাড়িতে ২২ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট পাওয়া গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। আর সেখানে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ওএমআর শিট পাওয়া নিয়ে তথ্য দেয় পর্ষদ। আর তাতে রীতিমত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। আদালতে তাঁর প্রশ্ন, ''এটা কী চলছে? কয়েক জন দুষ্কৃতী মিলে কি রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে!' কুন্তলের বিষয়ে ইডির কাছে জানতে চাইবেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন
পাশাপাশি নাম না করে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, এত বড় দুর্নীতি, এরপরেও কিছু মানুষ আদালকে দোষ দেবে। শুধু তাই নয়, কেউ কিছু পদক্ষেপ করেন না, আর আদালত কিছু করলে সে দিকেই আঙুল তোলা হয় বলেও মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।