তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক কাড়াই লক্ষ্য! জানেন, কার দিকে হাত বাড়িয়েছে বিজেপি
দেশ বিরোধী মন্তব্য করায় টিপু সুলতান মসজিদের ইমামকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার দাবি তুলেছিল বিজেপি, এবার সেই অপসারিত ইমামকে দলে নিতে চাইছে তারা।
দেশ বিরোধী মন্তব্য করায় টিপু সুলতান মসজিদের ইমামকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার দাবি তুলেছিল বিজেপি, এবার সেই অপসারিত ইমামকে দলে নিতে চাইছে তারা। লোকসভায় ভোটের আগে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট-ব্যাঙ্কে থাবা বাসতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন:মনোনয়নে সন্ত্রাসের ঠেলা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে]
মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পরই নুর রহমান বরকতির বিজেপিতে প্রবেশ নিয়ে কথা উঠতে শুরু করেছিল। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তাঁকে দলে আনতে চেয়েছিল বিজেপির একটা অংশ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সবুজ সংকেতও ইতিমধ্যে পেয়ে গিয়েছিল বিজেপি। এমনকী তাঁকে অমিত শাহের সভাতেই যোগদান করানোর পরিকল্পনা ছিল।
কিন্তু অমিত শাহের বাংলার সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খায়। তবে একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এই ইমামকে দলে নিতে বিজেপি যে উৎসাহী, তা ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিজেপির মূল লক্ষ্য ২০১৯। ২০১৯-এর আগে বাংলায় বিজেপি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, তাঁরা আদৌ সাম্প্রাদায়িক নন, তাঁরা অন্য রাজনৈতিক দলের মতো ধর্মনিরপেক্ষ।
তাই আর দেরি না করে বরকতির বিজেপিতে আগমন পর্বটা সেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে না হলেও, পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই নবোদ্যমে ময়দানে নেমে পড়বেন বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের নেতা-নেত্রীরা। আর এই পর্বে প্রথম পদক্ষেপই হবে বরকতির মতো সংখ্যালঘু মুখকে বিজেপি এনে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করা।
কিন্তু আবার বিজেপির একটা অংশ মনে করছে, টিপু সুলতান মসজিদের প্রাক্তন ইমামকে বিজেপিতে এনে কি আদৌ ফাদয়া হবে? এই অংশের যুক্তি বরকতির ভাবমূর্তি আদৌ উজ্জ্বল নয়। তার উপর বরকতিকে দলে নেওয়া মানে সংখ্যাগুরু ভোটব্যাঙ্কে ফাটল দেখা দিতে পারে।
[আরও পড়ুন: মুকুলের চালে ভোল বদলেছে বিজেপির! শিয়রে সমন দেখতে শুরু করেছে তৃণমূলও ]
আবার সেই ফাটল বন্ধ করার মতো সংখ্যালঘু ভোট বিজেপির দিকে আসবে কি না তও স্পষ্ট নয়। তার উপর দেশ বিরোধী মন্তব্যে তাঁকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিল বিজেপি, তাঁকে দলে আমল দিলে খারাপ প্রভাব পড়বে কি না, সেটাও বিবেচ্য হওয়া উচিত।
তবু বরকতিকে এনে তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা ঝটকা দিতে চাওয়ার যুক্তিই পাল্লাভারী। তবে সব দিক বিবেচনা করেই এগোতে চাইছে পদ্মশিবির। ২০১৯-এর লক্ষ্যে দলকে এ রাজ্যে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জারে রুপান্তরিত করাই মূল লক্ষ্য। সে জন্য সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতেই হবে। সেইমতোই পরিকল্পনা তৈরি করছে গেরুয়া শিবির।