করোনা প্রকোপে জর্জরিত কলকাতা! রাজ্যে তরতরিয়ে বাড়ছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা
ক্রমশ পরিস্থিতি প্রতিকূল হচ্ছে রাজ্য তথা কলকাতার করোনা পরিস্থিতি। গোটা রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও।
কলকাতায় আরও বাড়ল কনটেইমেন্ট জোনের সংখ্যা
কলকাতায় আরও বাড়ল কনটেইমেন্ট জোনের সংখ্যা। কলকাতার কনটেইমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩৪। কলকাতায় গতকাল পর্যন্ত কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৩১৮। একদিনেই নতুন করে ১৬টি নতুন কনটেনমেন্ট জোনের খবরে স্বভাবতই আতঙ্কে শহরবাসী।
কনটেনমেন্ট জোনের তালিকায় শীর্ষস্থানে...
কলকাতার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল নয় নম্বর ওয়ার্ডের অভয়মিত্র রোড, তিন নম্বর ওয়ার্ডের জেকে ঘোষ রোড-লাল ময়দান-অনাথ দেব লেন, চার নম্বর ওয়ার্ডের রাজা মণীন্দ্র রোড-বেলগাছিয়া এলাকা।
বেলগাছিয়াতেও করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে
এছাড়াও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বেলগাছিয়া রোড-ইন্দ্র বিশ্বাস রোড-ক্ষুদিরাম বোস সরনি, এক নম্বর ওয়ার্ডের ৩২/৯ বিটি রোড- চিড়িয়া মোড়ের কেসি রোড কনটেনমেন্ট জোনে ছিল। পাশাপাশি খগেন চ্যাটার্জি রোড, কাশীপুর রোডের পুরো বস্তি, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের করিম বক্স রোড-২৩/১ ও ২৩/৩ কাশীপুর রোড- শেঠ পুকুর রোড, সাত নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মিত্র লেন থেকে শুরু করে ঘোষপাড়া, বাগবাজার স্ট্রিটও এই তালিকায় ছিল।
দুই ২৪ পরগনাতেও বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোন
এদিকে কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৮১। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কনটেইমেন্ট জোনের সংখা ছিল মাত্র ১টি। একলাফে বেড়ে দাঁড়াল ২২।
হাওড়া ও নদিয়ার পরিস্থিতি
মালদায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। রেড জোন হাওড়ার সাধারণ মানুষ উদ্বেগে থাকলেও তাঁদের জন্য থাকেছে সুখবর । নতুন করে বাড়েনি কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। গতকাল পর্যন্ত হাওড়ার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৭৪। পাশাপাশি নদিয়া জেলাতেও বাড়েনি কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৯। রাজ্যের আটটি জেলায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫-এরও কম।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি
এদিকে, বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বুধবার বেশ কিছুটা বেড়েছে। এদিন আরও ১১২ জনের শরীরে এই মারণে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গিয়েছে। যার ফলে রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৪৫৬ জন।