সারা জীবনের মতো সাঁতার কাটা থেকে গাড়ি চালানো বন্ধ পরিবহর! চিকিৎসকের দুর্দিনে আবেগঘন রোগীরা
এই সম্পর্ক ঠিক ভাষায় আটকে ফেলা কঠিন! রোগীর কাছে খানিকটা ভগবান তুল্য তাঁদের চিকিৎসকরা। আর রোগীকে সুস্থ করতে পারার শপথ নিয়েই পেশায় পা রাখেন যেকোনও চিকিৎসক। তবে সময়ের জাঁতাকলে কখনও সেই সম্পর্কে রাগ , অভিমান, ক্ষোভ বা স্বজনহারার কান্না যেমন লেগে থাকে, তেমনই অন্যপ্রান্তে সেই 'না পারার' কষ্টের আঁচও গিয়ে মিশে যায়। এভাবেই রোগী-চিকিৎসক সম্পর্ক দেখে এসেছে সময়কাল। তবে সাম্প্রতিককালে কলকাতার বুকে যেভাবে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে তাতে হতবাক গোটা বাংলা। সোমবার রাতে চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে যেভাবে মারধর করেছে রোগীর পরিবার, তাতে এই তরুণ চিকিৎসকের সুস্থ ভবিষ্যত ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।
কেমন আছেন পরিবহ?
একরাতে
রোগীর
পরিবারের
রাগ
,
ক্ষোভ
যেন
নিমেষে
শেষ
করে
দিয়েছে
একজন
চিকিৎসকের
সুস্থভাবে
বাঁচার
সমস্ত
অধিকার।
তীব্র
মারের
জেরে
তাঁর
করোটির
একটি
দিক
তুবড়ে
গিয়েছে।
হাড়
ঢুকে
গিয়েছে
পরিবহর
করোটিতে।
তীব্র আলো সহ্য করতে পারবেন না পরিবহ!
মল্লিকবাজারে এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি পরবিহ কয়েকদিন আগেই মৃত্যুর সঙ্গে কঠিন লড়াই জিতে নিয়েছেন। তবে সেই লড়াই জিতে নিলেও স্বাভাবিক সুস্থ জীবনের পথে চরম সমস্যা লেগেই থাকবে পরিবহর। এমনই মত চিকিৎসকদেরষ সারা জীবনের মতো গাড়ি চালানো, সাঁতার কাটা, বা তীব্র আলো সহ্য করতে পারবেন না এই উজ্জ্বল তরুণ বাঙালি। থাকতে পারে খিঁচুনির সম্ভবনা। আচরণগত সমস্যা থাকতে পারে তাঁর। জন্মাতে পারে লিভার জনিত সমস্যাও। আর এই সমস্তকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবাও ব্রতী থেকে মানুষকে সেবা করার অঙ্গীকার নিয়েই চলতে হবে পরিবহকে।
আবেগঘন তাঁর রোগীরা
চিকিৎসক নিজে যখন হাসপাতালে বেডে শুয়ে চরম লড়াইয়ে রয়েছেন, তখন তাঁর পাশে রয়েছেন তাঁর রোগীরা। এভাবেই পরিবহর প্রতি আবেগঘন বার্তা দিলেন তাঁর চিকিৎসাধীন এক রোগী। আরও একবার স্পষ্ট হল , রোগী -চিকিৎসকের পারস্পরিক সম্পর্ক এখনও কোথও শ্রদ্ধা-আবেগ আর ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িত।