এখন আর প্রশাসনকেও মানছে না তৃণমূল! বিডিও-র সামনেই গুলি চলল কুলতলিতে
এখন আর প্রশাসনকেও মানছে না শাসক শিবির। বিডিও-র সামনেই আই গুলি চালাতেও কুণ্ঠা করল না তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বিডিও-র সামনেই চলল গুলি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৩ ফেব্রুয়ারি : এখন আর প্রশাসনকেও মানছে না শাসক শিবির। বিডিও-র সামনেই আই গুলি চালাতেও কুণ্ঠা করল না তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বিডিও-র সামনেই চলল গুলি। অভিযোগ, একশো দিনের কাজে জালিয়াতি নিয়ে গন্ডগোলের জেরে কুলতলির মেরিগঞ্জে জয়েন্ট বিডিও পরিদর্শন চালানোর সময়েই গুলি চলে। এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমাও।[এলাকার মাটির রাস্তার দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ]
দীর্ঘদিন ধরেই কুলতিল ব্লকের মেরিগঞ্জে একশো দিনের কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল দু'পক্ষের। কোন গোষ্ঠী দায়িত্বে তাকবে তা নিয়েও গন্ডগোল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই কুলতলির বিডিও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তখনই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। জয়েন্ট বিডিও নিজেও গুলির আওয়াজ পান।[অভিনব অভ্যর্থনা! নবাগত শিক্ষককে জুতোর মালায় 'স্বাগত' জানালেন স্থানীয় যুবকরা]
কুলতলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে দুই তৃণমূল নেতা সাদিম মণ্ডল ও বাসার মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তারাই একশো দিনের কাজে মাটি ফেলার কাজের দায়িত্বে ছিলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিবাদ বাধে দুই তৃণমূল নেতার। তখন সাদিম ও বাসার দু'রাউন্ড গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা একজেট হতেই পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত।[শ্রমিকের হাতে রক্ত ঝরল শ্রমিক নেতার, মাথাভাঙায় উত্তপ্ত তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ]
পুলিশ সাদিম ও বাসারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। বাসারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি তাজা বোমা। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। বিডিও নিজে এলাকার মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও পুলিশ নিয়োগের সুপারিশ করেছেন।