বিধায়কদের জন্য খুলে গেল সমিতি-জেলা পরিষদের দুয়ার! আইনি গেরো খুলে বার্তা সুব্রতর
পুরসভার কাউন্সিলররা যা পারতেন, তা জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের জন্য গ্রাহ্য হত না। এবার পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সৌজন্যে সেই বাধা দূর হয়ে গেল।
এতদিন আইনি বাধায় বিধায়ক হয়ে যাওয়ার পর ছেড়ে দিতে হয়েছে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির পদ। পুরসভার কাউন্সিলররা যা পারতেন, তা জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের জন্য গ্রাহ্য হত না। এবার পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সৌজন্যে সেই বাধা দূর হয়ে গেল। এবার বিধায়করাও অবলীলাল প্রার্থী হতে পারবেন জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতিতে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না কোনও বিধায়ক। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও হতে পারবেন না।
পুর আইন অনুযায়ী বিধায়ক কাউন্সিলর হতে পারেন। এমনকী মেয়র বা চেয়ারম্যানও হতে পারেন বিধায়করা। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের সদস্য থাকতে পারেন না কোনও বিধায়কই। এই আইন চলে আসছে বরাবর। এমনকী এই আইনের জেরে অনেক বিধায়ককে জেলা পরিষদ সদস্যপদ বা পঞ্চায়েত সমিতির পদ ছাড়তে হয়েছে।
এই পদ ছাড়ার তালিকায় রয়েছেন বিধায়ক মানস মজুমদার, রহিমা মণ্ডল, কমলেশ চট্টোপাধ্যায়-রা। আগে সাবিনা ইয়াসমিন কিংবা আবু তাহেরের মতো অনেককে জেলা পরিষদের পদ ছাড়তে হয়েছে। এই আইনের বিরোধিতা করে মামলাও হয়েছে। শাসকদলের বিধায়কদের একাংশ পঞ্চায়েতমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানিয়েছিল- বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য।
শেষপর্যন্ত সমস্ত দিক চিন্তা করে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় পঞ্চায়েত আইনে বদল আনেন। তিনি আইনের গেরো আলগা করে জানিয়ে দেন, বিধায়করাও এবার জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একত্রে উভয় পদে থাকার ব্যাপারে কোনও বাধা থাকবে না। আবার প্রশ্ন ওঠে, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত তো একাধারে মেয়র আবার বিধায়ক, মন্ত্রীও। তাহলে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকতে পারবেন না কেন বিধায়করা?
এ ক্ষেত্রে এখনই নিয়ম লঘু করছে না পঞ্চায়েত দফতর। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, বিধায়কদের জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতিতে রাখলে কাজের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই নীতিগত সুবিধাও হবে। একজন বিধায়ক জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতিতে থাকলে উন্নয়ন প্রকল্প তদারকি বা রূপায়ণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারবেন। জেলায় প্রকল্পের অগ্রগতি হবে। জেলা বা গ্রামের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি হয়, সেগুলি বিধানসভায় তুলেও ধরতে পারবেন।