এবার মোদীর সঙ্গে নয়া যুদ্ধে মমতা, শুক্রবার ময়নাগুড়ি সভার আগে ছড়াল বিতর্ক
রাজীব কুমার এপিসোডের রেশ এখনও কাটেনি। কিন্তু, সেই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের একবার সম্মুখ সমরে নরেন্দ মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজীব কুমার এপিসোডের রেশ এখনও কাটেনি। কিন্তু, সেই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের একবার সম্মুখ সমরে নরেন্দ মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ালেন। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগেই এক নজিরবিহীন আক্রমণ শুরু হয়েছে দু'পক্ষের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য় সরকার অভিযোগ করে বেআইনিভাবে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার বেলা ১টায় ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। এই জনসভার পরই প্রধানমন্ত্রী জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করবেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই এই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যদি এই কাজ করেন তাহলে তা নিয়ম বর্হিভূত। মলয় ঘটকের আরও অভিযোগ, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ গড়তে রাজ্য সরকার ৪০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কেন্দ্র থেকে এক টাকাও পাওয়া যায়নি। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের মঞ্জুরি দিয়েছিলেন।
আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক আরও অভিযোগ করে বলেন, চার মাস আগে এই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই চিঠির আজও উত্তর আসেনি। অথচ, নির্বাচনের আগে যে ভাবে রাতারাতি এই সার্কিট বেঞ্চে ছাড়পত্র দিয়ে এবং রাজ্য সরকারকে শুধুমাত্র একটা বিধিমেনে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের কথা জানিয়ে দেওয়াটাকে রাজ্য সরকার তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। নির্বাচনে আগে এই ধরনের উদ্যোগ মাইলেজ কুড়োনোর চেষ্টা।'
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের চূড়ান্ত ছাড়পত্র কেন্দ্র ঝুলিয়ে রেখেছে বলে চলতি মাসের শুরুতে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে নাকি জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার এই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করবেন। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দাবি, 'আমরা জানি একটা রাজনৈতিক সভা হবে। কিন্তু, তার আড়ালে যে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হবে জা জানা ছিল না।'
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে বহুদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার লড়াই করে চলেছে। প্রাথমিক ছাড়পত্র পাওয়ার পর এই সার্কিট বেঞ্চ গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এক বেঞ্চকে জলপাইগুড়িতে স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর ফলে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি কোচবিহার জেলার যাবতীয় মামলার শুনানি এই বেঞ্চ থেকে হবে। এই চার জেলার লোকেদের কলকাতায় হাইকোর্টে না এলেও হবে। এই সার্কিট বেঞ্চের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ২ জন বিচারপতি থাকবেন। এরা ২ সপ্তাহ ধরে কাজ করে ডিউটি অদল-বদল করবেন।