পর্যটন শিল্পেও থাবা, নোট বাতিলের কোপে পাহাড়ে অলিখিত বনধ
পর্যটন শিল্পেও থাবা বসিয়েছে মোদির ৯/১১-র ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'। পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। পর্যটনের দার্জিলিংয়ে চলছে অলিখিত বনধ।
দার্জিলিং, ৯ নভেম্বর : পর্যটন শিল্পেও থাবা বসিয়েছে মোদির ৯/১১-র 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'। পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। পর্যটনের দার্জিলিংয়ে চলছে অলিখিত বনধ। পকেটে টাকা আছে, ডেবিট কার্ড আছে। তবু টাকাকে ছোঁয়া যাবে না।এমনই সরকারি নিদান। রাত ১২টা পর থেকেই বাতিল হয়ে যাবে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট, গতরাতে ট্রেনে বসেই শুনেছিলেন অনেক পর্যটক।
অনেকে নগদ না নিয়ে ডেবিট কার্ডের ভরসাতেই এসেছিলেন বেড়াতে। সকালে এটিএম থেকে টাকা তুলে নেবেন। কিন্তু রাতেই ঘোষণা হয়েছে এটিএম বন্ধ, বন্ধ ব্যাঙ্ক। পকেট তাই গড়ের মাঠ। বেড়াতে গিয়ে কী বিপাকেই না পড়েছেন পর্যটকরা। বিকিকিনি নেই। তাই বেলা গড়াতেই দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। থমকে যাওয়া পর্যটনের ছবি পাহাড়ে, ডুয়ার্সেও।
স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে হোটেলে যাওয়ার উপায় পর্যন্ত নেই। কেউ ৫০০ ও হাজার টাকার নোট নিচ্ছে না। সকলেরই একটাই শর্ত ১০০ টাকার নোট দিতে হবে। স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতেই যে আপাতত হোটেল নেবেন। সে উপায়ও নেই। হোটেল কর্তৃপক্ষও ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। সপরিবারে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। তাঁদের অভিযোগ, পাহাড়ে অনলাইন কেনাকাটার সুযোগও কম। পরিষেবাও যথেষ্ট নয়। লেনদেন সবকিছুই নগদ করতে হয়।
তাই চরম বিপাকে পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী- প্রত্যেকেই। অন্তত একদিনের নোটিশ দিতে পারত সরকার, মত সকলের। তা না করে রাতারাতি ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করায় সঙ্কট তীব্রতর হয়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি। ভাবেনি পর্যটকদের কথা। বুধবার সকাল থেকেই তাই অসহায়তার ছবি ফুটে উঠছে চারিদিকে।