প্রধানমন্ত্রী আহ্বানে 'দীপ জ্বালো'তে দেদার ফাটল বাজি! পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন
আলো নিভিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ছিল দেশ জুড়ে 'দীপ জ্বালো'।
আলো নিভিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ছিল দেশ জুড়ে 'দীপ জ্বালো'। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা যেন সুষ্ঠুভাবে সারা দেশে মিটল না। শুধু কলকাতা কিংবা রাজ্য নয়, সারা দেশেই কিছু সময়ের জন্য বাজি ফাটাতে দেখা যায় বহু মানুষকে। যদিও বিরোধীদের তরফে এর জন্য বিজেপিকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ছিল দীপ জ্বালো
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন ঘরের আলো নিভিয়ে শুধুমাত্র মোমবাতি, প্রদীপ কিংবা মোবাইলের আলো জ্বালতে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ছিল রাত নটা থেকে নটা নয় পর্যন্ত দীপ জ্বালোর।
দেদার ফাটল বাজি
অনেক জায়গাতেই রাত নটার আগে থেকে বহু মানুষকে প্রদীপ কিংবা মোমবাতি জ্বালাতে দেখা গিয়েছে। তবে রাত নটা শুরু হওয়ার পর থেকে দেদার বাজিও ফেটে। বিজেপির তরফে বাজি ফাটানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে কর্মসূচিতে তা ছিল না।
পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন
কালীপুজোর সময় নজরদারি থাকে। কিন্তু লকডাউনের সময়তেই বহু মানুষের হাতে কীভাবে আতসবাজি পৌঁছে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে পুলিশের কী কোনও নজরদারি ছিল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জনতা কার্ফু এবং ঘন্টা বাজাতেও বহু মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন
প্রধানমন্ত্রী লকডাউন শুরুর আগে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন। পাশাপাশি যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য হাতে তালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো ছাড়াও ঘন্টা বাজানোর কথা বলেছিলেন। এই দুই কর্মসূচিতেই বহু মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। যদিও সেই সময় বারবার সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং কথা বলা হয়েছিল। সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই তা করা হয়েছিল।