সিপিএম, বিজেপি নয়, তৃণমূলের 'দুশমন' এখন যাদবপুরের পড়ুয়ারা
আরও
পড়ুন:
তোমাদের
আন্দোলনে
নৈতিক
সমর্থন
আছে,
ব্যবস্থা
নেব,
পড়ুয়াদের
বললেন
রাজ্যপাল
আরও
পড়ুন:
যাদবপুর-কাণ্ডের
ঢেউ
মুম্বই,
দিল্লি,
ব্যাঙ্গালোরে,
পথে
নামলেন
পড়ুয়ারা
আরও
পড়ুন:
তিলকে
তাল
করা
হচ্ছে,
যাদবপুরের
নাম
না
করেই
বললেন
মমতা
আরও
পড়ুন:
পুলিশ
মারেনি,
সাফাই
কমিশনারের!
উনি
'তৃণমূলের
ক্যাডার,
চাটুকার',
পাল্টা
বিরোধীদের
যে বর্বরতা নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পুলিশ ও গুন্ডারা, তা দেখে শিউরে উঠেছে রাজ্য। দেশের বিভিন্ন শহরেও পৌঁছেছে এর ঢেউ। তবুও এর সপক্ষে নির্লজ্জ সাফাই দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। সোশ্যাল নেটিওয়ার্কিং সাইটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কুৎসা পর্যন্ত শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। তাতেও থেমে না থেকে এ বার সরাসরি টিএমসিপি-কে পথে নামার নির্দেশ দেওয়া হল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলাতেও পাল্টা প্রচার চালাবে টিএমসিপি। নরমে-গরমে কলেজ পড়ুয়াদের 'বাস্তব ছবি' বোঝানোর পাশাপাশি বলা হবে যাদবপুর-কাণ্ডের সমর্থনে ভবিষ্যতে আন্দোলনে না নামতে। কারণ গতকালের মিছিলে শহরতলি এবং জেলা থেকেও এসেছিলেন পড়ুয়ারা। এতেই বিপদের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন।
টিএমসিপি সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "আমাদের স্লোগান হবে, 'যেতে হবে অনেক দূর আমরা বাঁচাব যাদবপুর।' "
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবে সম্মুখ সমর শুরু করে ভুল করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে অল্পবয়সীরাই মূলত ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। কারণ, তিনি 'উন্নত' বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বেকারত্ব ঘুচিয়ে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই অল্পবয়সীদের ওপরই পুলিশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে দমনপীড়ন নামিয়ে আনল, তার জেরে তরুণ মনে প্রভাব পড়েছে। বরং নরম সুরে কথা বললে কিছুটা ক্ষত মেরামত করা যেত। তা না করে সরাসরি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় পড়ুয়া সমাজ তথা তরুণ মনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।