পদ্ম নয় এই বিশেষ ফুলে পূজিত হন কলকাতার মিত্রবাড়ির মা দুর্গা
ঐতিহ্য-সাবেকিয়ানার মিশেলে এবাড়িতে সাজেন উমা। দুর্গাপুোজর আয়োজনে কলকাতার মিত্র বাড়ি এখনও পরম্পরা মেনে চলে বিভিন্ন রীতি রেওয়াজ।
ঐতিহ্য-সাবেকিয়ানার মিশেলে এই বাড়িতে সাজেন উমা। দুর্গাপুোজর আয়োজনে কলকাতার মিত্র বাড়ি এখনও পরম্পরা মেনে চলে বিভিন্ন রীতি রেওয়াজ। উত্তর কলকাতার এই বাড়িতে, ২১২ বছর ধরে ১০৮টি পদ্মফুলে নয়, বংশপরম্পরায় ১০৮টি অপরাজিতায় দেবী দুর্গার পুজো হয় এই বাড়িতে।
পুজোর রীতি
শুধুমাত্র মায়ের জন্য উৎসর্গ করা ফুলই নয়, কুলের আচার ও আট রকমের বড়ি দিয়ে মাকে নৈবেদ্য দেওয়া হয়। প্রথম কুল ওঠার পর সেই কুল দিয়ে আচার বানানো হয় মায়ের জন্য। পুজোতে মিষ্টির বৈচিত্র্যও আলাদা।
মায়ের প্রসাদের আয়োজন
এখানে প্রায় আট থেকে দশ রকমের নাড়ু হয় দেবী দুর্গার ভোগের জন্য। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের নারকেলের মিষ্টি, গজা ও নানা ধরনের মিষ্টি বাড়িতেই তৈরি করা হয়। এই সব মিষ্টি করেন বাড়ির মহিলারাই। উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই মিত্রবাড়ির পুজো।
প্রস্ততি তুঙ্গে
পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন তাই সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে মিত্র বাড়িতে। উত্তর কলকাতার বিখ্যাত রাস্তা নীলমণি মিত্র স্ট্রিট, তাঁর ছেলে রাধাকৃষ্ণ মিত্র এই পুজোর প্রবর্তন করেন। বর্তমানে মানবেন্দ্র কৃষ্ণ মিত্রের কোনও পুত্র সন্তান না থাকায় তার তিন মেয়ে এই পুজোর পরিচালনা করেন।
বাড়ির সদস্যরা কী বলছেন?
মানবেন্দ্র
কৃষ্ণ
মিত্রের
কন্যা
অনুশুয়া
বিশ্বাস
জানান,
'একটা
বৈশিষ্ট্য
রয়েছে
এই
বাড়ির
প্রতিমায়।
দুর্গা,
লক্ষ্মী,
সরস্বতী
মূর্তি
হয়
দেবীমুখ
অর্থাৎ
টানা
টানা
চোখের
প্রতিমা
এবং
কার্তিক
ও
অসুরের
মুখ
হয়
মানুষের
মুখের
আদলে।
প্রতি
বছরই
দুর্গার
মূর্তি
একই
রকম
মূর্তির
ছাঁচে
করে
রাখা
হয়।'
তিনি
আরও
বলেন,
কুমোরটুলির
একই
জায়গা
থেকে
বংশপরম্পরায়
এই
প্রতিমা
হয়ে
আসছে।
প্রতিমাটি
হয়
এক
কাঠামোর।
বর্তমানে
প্রতিমা
করছেন
শিল্পী
অসিত
মুখোপাধ্যায়।
এখানে
সপ্তমী,
অষ্টমী
ও
নবমী
তিনদিন
ধরে
চলে
কুমারী
পুজো।
দশমীর
দিনে
পান,
মাছ
খেয়ে
বাড়ির
মহিলারা
মাকে
বরণ
করেন।
পরিবার
সূত্রে
আরও
জানা
গিয়েছে,
এখানে
আগে
পাঠা
বলি
হয়
কিন্তু
একবার
রাজকৃষ্ণ
মিত্রের
পায়ের
কাছে
একবার
একটি
ছাগল
চলে
আসে।
সেই
থেকে
এখানে
বলি
বন্ধ
হয়ে
গিয়েছে।
রীতি
মেনে
সিঁদুর
খেলায়
মাতেন
বাড়ির
মেয়ে
বউরা।
সেখানে
বাদ
যায়
না
প্রতিবেশীরাও।
প্রথা
মেনে
বাড়ির
পুরুষরা
আজও
সাদা
ধুতি
পড়ে
উড়নি
গায়ে
দিয়ে
প্রতিমা
বিসর্জন
দিতে
যান।