বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, ধসে বিচ্ছিন্ন পাহাড়, টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
একদিকে পাহাড় ধস, অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতি- জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরবঙ্গে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ।
জোড়া দুর্যোগে নাজেহাল দার্জিলিং। শুক্রবার রাতে থেকেই টানা বৃষ্টি চলছে। তার জেরে পাহাড়ে ধস নামতে শুরু করেছে। পাহাড়ে ধস নেমে এখন পর্যন্ত দু-জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাহাড়ের অধিকাংশ রাস্তাই বন্ধ ধসের কারণে। আর সমতলে অতিবৃষ্টির দাপটে জলমগ্ন এলাকা। জলপাইগুড়িতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই নাবালকের। একদিকে পাহাড় ধস, অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতি- জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। কোচবিহারেও জলে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরবঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ।
পাহাড়ে ভোটেধারা ও গড্ডিখানায় ধস নেমে তিনটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গড্ডিখানায় ধসে মৃত্যু হয়েছে নরবু তামাং (৭৮) নামে এক বৃদ্ধের। জোড়াবাংলোর আলুয়াবেড়িতে মৃত্যু হয় আরও একজনের। তাঁর নাম মানকুমারী রাই। বয়স ৫১। গড্ডিখানায় এখনও একজন বাড়ির তলায় চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ের জোড়বাংলো ও লেবং-এ ব্যাপক ধস নামছে পাহাড়ে। লেবং কার্ট রোড-সহ দুই এলাকার সমস্ত রাস্তাই ধসের জেরে বন্ধ। শিলিগুড়ির অবস্থাও সাংঘাতিক। নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এদিন। তারপর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় সংকট আরও তীব্রতর হতে চলেছে।
শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে মালদহ জলে ভাসছে। পুরো উত্তরবঙ্গজুড়ে থই থই বন্যার জল। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ির জয়পুরে মা্লকানিপাড়ায় দুই নাবালক জলে তলিয়ে যায়। পুকুর আর সমত বোঝার উপায় নেই। এই অবস্থায় কমলেন্দু রায় (১২) ও হরকুমার রায় (৫) বন্যার জলের তোড়ে ভেসে যায়।
এদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনও জলবন্দি হয়ে পড়ে। ফলে তিনটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে টানা বৃষ্টির জেরে। নিউ জলপাইগুড়ি-বঙ্গাইগাঁও প্যাসেঞ্জার, বামনহাট প্যাসেঞ্জার ও দিনহাটা প্যাসেঞ্জার বাতিল করা হয় এদিন। শিলিগুড়ির সেবক মোড়ে গাছ পড়ে বন্ধ রাস্তা।