করোনার আবহে রীতি মেনে ছাগল বলির মধ্য দিয়েই শুরু বসু বাড়ির পুজো
করোনার আবহে রীতি মেনে ছাগল বলির মধ্য দিয়েই শুরু বসু বাড়ির পুজো
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এবছরেও ছাগল বলির মধ্য দিয়ে বসু বাড়ির পুজো শুরু হবে। প্রত্যেক বছরই পূজায় উপস্থিত থাকেন শ্বশুরবাড়ির উত্তরাধিকারী অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু, এবছরেও থাকবেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া ব্লকের আরবেলিয়ার জমিদার অশোক নাথ বসুর বাড়ির পুজো প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন। বিশ্ব মহামারী করোনা আবহে যখন বহু প্রাচীন বাড়িগুলো পুজো বন্ধ রাখছে, তখনও এবছর একেবারে ভিন্ন মতচিত্র অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর পরিবারের।
তবে এবছর প্রশাসনের ছাড়পত্র নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে নিয়ে এই পুজো হচ্ছে। উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুও। ইতিমধ্যেই পুজোর কাজকর্ম চলছে। একদিকে যেমন প্রাচীন দালানকোঠা লতা পাতা গাছ দিয়ে ভরে আছে সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে, অন্যদিকে এক কাঠামো দেবীর রূপ তৈরি করতে মায়ের প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। ইছামতি নদী থেকে মাটি ও গঙ্গার জল এনে পুজোর শুভারম্ভই হল এখানকার বসু বাড়ি প্রাচীন পুজোর রীতি। প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত আছে বসু বাড়ির প্রতিমা যতক্ষণ পর্যন্ত দালানকোঠায় থাকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য না বেরোয় ততক্ষণ বাদুড়িয়া ব্লকের এখানকার কোন ঠাকুর মন্ডপ থেকে বেরোবে না। সে বারোয়ারি হোক আর জমিদার বাড়ি।
বস বাড়ির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, ষষ্ঠীতে ছাগল গুলির মধ্য দিয়ে দেবী পুজো আরম্ভ হয় নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ছাগল বলি হয়। সেই মাংস নিরামিষ রান্না করে প্রসাদ গ্রামে বিলি করা হয়। অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর বাড়ি পুজো প্রাচীন ইতিহাস বহন করে চলে আসছে।
অভিনেতার মা ছায়া বসু জানান, পুজোর ক'দিন দালানকোঠায় মুক্তমঞ্চে কলাকুশলীদের অনুষ্ঠানের পরিবারের লোকজন সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে সব ধর্মের মানুষ এখানে এসে ভিড় জমায় এই দালানবাড়ীতে। আর এই দেখতে ভিড় জমায় বাদুড়িয়া ব্লক এর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন মানুষ।