অভিজিৎ সাউথ পয়েন্টে পড়াকালীন কেন হয়েছিল 'গার্জেন কল'! নোবেলজয়ীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা শিক্ষিকার
পুজো মিটতেই এই গত ৭ দিন ছিল যেন 'বঙ্গ সপ্তাহ'! এমন কথা এখন শহর কলকাতার বুকে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। বাংলার একাধিক ছেলের গর্বে এই গোটা সপ্তাহে বাঙালি পেয়েছে গিয়েছে সেরা 'পুজো গিফ্ট'! একদিকে, অর্থনীতিতে দ্বিতীয়বার নোবেল প্রাপ্তি, অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট সাম্রাজ্যের তখতে শহরের ছেলে মহারাজ, আর উত্তরবঙ্গের ঋদ্ধিমানের দাপুটে ক্রিকেট, সবমিলিয়ে মুগ্ধতার আবেগে ভাসছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা।
সবেমাত্র গতকালই বাংলা পেয়েছে আরও এক নোবলজয়ী বঙ্গসন্তানকে। উচ্ছ্বাস বাঁধ মানছে না অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ঘিরে। আর সেই অভিজিতের ছোটবেলার কথা উঠে এলো তাঁরই স্কুলের এক শিক্ষিকার মুখে।

কেমন ছিলেন ছোট্ট অভিজিৎ?
বাংলার প্রথম সারির এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায় নোবেলজয়ী অভিজিতের ছোট্টবেলার নানা অজানা কথা। এই নোবেলজয়ী সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াকালীন কিন্তু 'গার্জেন কল' এর হাত থেকে বাঁচতে পারেননি! এমনই কথা জানিয়েছেন তাঁর স্কুলের শিক্ষিকা দীপালি সেনগুপ্ত। প্রিয় ছাত্রকে নিয়ে আজ যিনি গর্বিত।

'গার্জেন কল' কেন হয়?
নোবোলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিতের হাতের লেখা মোটেও ভাল ছিল না। আর সেই কারণেই স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁর মাকে। স্কুলের শিক্ষিকারা বারবার অভিজিতের মাকে এই বিষয়টিতে নজর দিতে বলেন। সেই কথা আজও মনে পড়ে গেলে খানকটা 'লজ্জা'ই পান দীপালি দেবী!

কেমন ছিলেন সাউথ পয়েন্ট-এর অভিজিৎ?
শিক্ষিকা দীপালি সেনগুপ্ত ছোট্ট অভিজিতের কথা মনে করতে করতে জানিয়েছেন, স্কুলে একবার একটা অঙ্ক হয়ে গেলে, তারপর আর সেদিকে তাকাতেন না অভিজিৎ। ভাবলেশহীন মুখে চলে যেতেন অন্য অঙ্ক সমাধানের দিকে।

'ভাল'র মধ্যে আরও 'ভাল' অভিজিৎ!
সাউথ পয়েন্টে স্কুলের শিক্ষকতা করা কালীন একাধিক কৃতী ছাত্রকে পড়িয়েছেন দীপালী সেনগুপ্ত। তবে তাঁর মতে, ঋতুপর্ণ, অভিজিতের মতো ছাত্রদের কথা আলাদা করে মনে থেকে যায়। এঁরা যেন 'ভাল'র মধ্যে আরও 'ভাল' !
অভিজিতের নোবেল জয় নিয়ে কী বললেন অমর্ত্য সেন