'আমার নয় ,গোটা বাংলার সন্তান অভিজিৎ', ছেলের নোবেলজয়ে গর্বিত মা নির্মলা
ছেলে এখন সূদূরে। এদিকে, কলকাতায় দুপুরবেলা আয়েসে বই পড়তে পড়তে হঠাৎই ফোন। আর ফোনার ওপার থেকে নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসেছে অপ্রত্যাশিত সেই সুখবর।
ছেলে এখন সূদূরে। এদিকে, কলকাতায় দুপুরবেলা আয়েসে বই পড়তে পড়তে হঠাৎই ফোন। আর ফোনার ওপার থেকে নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসেছে অপ্রত্যাশিত সেই সুখবর। ছেলে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থনীতিতে নোবেল জয়ের খবর বালিগঞ্জের বাড়িতে পেয়েছেন মা নির্মলা। আনন্দ, উচ্ছ্বাস, অকস্মাৎ সুখবর ভাগ করে নিতে না নিতেই , দরজায় কলিং বেল! নির্মলাদেবীর বাড়ির দরজার ওপাশে তখন এসে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা। মাধ্যম কলকাতা পুলিশ। এরপরই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন নোবেলজয়ীর মা নির্মলাদেবীকে। উঠে আসে একাধিক প্রসঙ্গ।
ছেলের নোবেলজয় নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই নির্মলা দেবী জানান, 'আমার নয়, বাংলার ছেলে অভিজিৎ.. সকলের সন্তান সে'। এর মধ্যেই তিনি নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, প্রায়ই মা-ছেলের কথা হয় ফোনে। তবে 'কী খেয়েছ?' বা 'কেমন আছ?' প্রশ্ন বড়ই বিরক্তির হয়ে ওঠে ছেলের কাছে। কিন্তু , গবেষণার বিষয়, বা সাধারণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে বেশ ভালোবাসেন অভিজিৎ। মা ও ছেলের মধ্যে প্রায়ই আড্ডা হয় সাম্প্রতিক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে। নির্মলা দেবী প্রায়ই ছেলের কাছে জানতে চান বর্তমানে ভারতের কর ব্যবস্থা নিয়ে। যা নিয়ে সাবলীলভাবে সহজ পন্থায় মাকে বুঝিয়ে দেন ছেলে অভিজিৎ।
[বিজেপির পাখির চোখ ২০২১, মমতাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে 'মিশন' তৈরি মোদী-অমিতের]
'পুওর ইকোনমিক্স' এর রচয়িতা অভিজৎ অত্যন্ত সহজভাবে অর্থনীতির নানান কঠিন বিষয় বুঝিয়ে দিতে পারেন বলেও জানান নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেলে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ,বার বার তিনি বলেন সাউথ পয়েন্টের ছাত্র অভিজিৎ সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে পড়তে গিয়ে শেষে অর্থনীতির ভালোবাসায় পড়ে যান অভিজিৎ।