পুজো মণ্ডপে দর্শকদের NO-ENTRY! রাজ্য সরকারকে দুষে কি বলল হাইকোর্ট
পুজো মণ্ডপে দর্শকদের NO-ENTRY! রাজ্য সরকারকে দুষে কি বলল হাইকোর্ট
গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ (coronavirus) ক্রমবর্ধমান। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta high court) সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। পুজো নিয়ে হাইকোর্টের শুনানিতে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দর্শক শূন্য (no entry) রাখতে হবে পুজো মণ্ডপগুলি। পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপকে কন্টাইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এই মামলায় মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
জনস্বার্থে প্যান্ডেলে নোএন্ট্রি জোন
পুজো নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় সোমবার রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, শহরের মার্কেটগুলিতে যে ভিড় হচ্ছে পুজোয় তার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যায় না। প্রতিটি মণ্ডপে ব্যারিকেড করে নো এন্ট্রি জোন, বাফার জোন, প্যান্ডেল এরিয়া তৈরি করতে হবে। জনস্বার্থেই প্রত্যেকটি প্যান্ডেলে নো এন্ট্রি জোন তৈরি করতে হবে। ছোট প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে ৫ মিটার এবং বজ প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
ভার্চুয়াল কভারেজ
দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ, পুজোর ভার্চুয়াল কভারেজ করা যেতে পারে। সাধারণ দর্শক ভার্চুয়ালি দেখবেন।
নথিভুক্ত করতে হবে স্বেচ্ছাসেবকদের নাম
প্রতিটি মণ্ডপে ১৫ থেকে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম আগে থেকেই পুলিশের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে। পুজোর মণ্ডপে কমিটির সদস্যরা ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারবেন না। রাজ্যের যে ৩৪ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হয়েছে, তাদের সকলের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে।
পুজো নিয়ে চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা
পুজোর মুখে মার্কেট গুলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখে চিকিৎসকরা সতর্ক করতে শুরু করেছিলেন। তাঁরা উদাহরণ দিয়েছিলেন কেরলের ওনম উৎসবের। এরপরেই পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ সরকারের কাছে জানতে চায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য গাইডলাইন তৈরিতে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
এদিন পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, সেখানে বলা হয়, কাগজে যা ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তা ভয় জাগানো। তাঁরা প্রশ্ন করেন ৩০ হাজার পুলিশ কি পারবেন ২ থেকে ৩ লক্ষ মানুষকে সামলাতে। সেই সময় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, আরও পুলিশ বাড়ানো হবে। সেই সময় বিচারপতিদের মন্তব্য ছিল মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে কোনও পরামর্শ আসেনি। সরকারের আরও আগে সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করে আদালত।
পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে নেই! মিথ্যা মামলার নির্দেশ দিচ্ছেন মমতা, বিস্ফোরক লকেট চট্টোপাধ্যায়