
রাত জেগে কলকাতায় পুজো দেখার ইচ্ছাতে জল ঢালল রেল! সমস্যায় পড়তে না চাইলে অবশ্যই জানুন এই নির্দেশ
বুধবার সকালেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিতে দেবীপক্ষের সূচনা। সব জায়গাতে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। প্যান্ডল হোক কিংবা কুমোরটুলি এই মুহূর্তে সব জায়গাতে ব্যস্ততা। দোকানেও চলছে ব্যস্ততা।স শেষ মুহূর্তে কেনা কাটা সব ঠিক হয়েছে তো। চলছে শেষবেলাতে মিলিয়ে নেওয়ার পর্ব। উৎসব মুখোর হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা। তবে এই সবের মধ্যেই কোথাও যেন লুকিয়ে রয়েছে আতঙ্ক। আর তা হল করোনা। ইতিমধ্যে পুজোর দিনগুলির জন্যে কড়া গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

নির্দেশিকা দিয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারও
নতুন করে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কড়া বিধি নিষেধ জারি থাকছে রাজ্যে। তবে ১০ তারিখ থেকে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। সকাল ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রাতে পুজো দেখার উপরে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুজো উদ্যোক্তাদের জন্যে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। স্যানেটাইজ এবং মাস্ক পুজোর দিনগুলিতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জমায়েতের উপরেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

রাতে চলবে না বাড়তি ট্রেন
করোনা সংক্রমণকে বেঁধে রাখতে বেশ কয়েকমাস ধরেই রাজ্যে বিন্ধ লোকাল ট্রেন। তবে পুজোতে ছাড় দেওয়া হবে বলে ভাবা হয়েছিল। তবে তাতেই ছেদ! কার্যত এবার আরও একধাপ এগিয়ে রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে, পুজোয় রাতে চলবে না বাড়তি ট্রেন। মফস্বলের দর্শনার্থীদের কলকাতায় ঠাকুর দেখার জন্য আগে বাড়তি ট্রেন চালাত পূর্ব রেল। তবে এবার
পুজোয় রাতে বাড়তি ট্রেন চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিল পূর্ব রেল।

কোন নির্দেশ কিংবা আলোচনা করেনি
পূর্ব রেল আধিকারিকদের বক্তব্য রাজ্য সরকার বাড়তি ট্রেন চালানোর বিষয়ে কোন নির্দেশ কিংবা আলোচনা করেনি।
বর্তমান সময়ে যেভাবে ট্রেন চলছে পুজোর সময় সেই ভাবে ট্রেন চালানো হবে।
যদিও ইতিমধ্যেই মেট্রোরেল এর পক্ষ থেকে রাতে অতিরিক্ত ১ ঘন্টা মেট্রো পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ৩০ অক্টবর রাজ্যে বিধি নিষেধ জারি রয়েছে। আর তাতে লোকাল ট্রেন চালানোর উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে মনে করা হয়েছিল যে পুজোর দিনে হয়তো এবার লোকাল ট্রেন চলতে পারে। কিন্তু সেই আশাতে জল ঢেলে দিল রেল।

১১ দফা গাইডলাইন
পুজো মুখে ১১ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করল নবান্ন। করোনা পরিস্থিতি বাংলাতে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও চলে যায়নি। এমনকি থার্ড ওয়েভের একটা সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। আর সেই লক্ষ্যেও এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট করে বলে দেখা হয়েছে যে মন্ডপ খোলামেলা করতে হবে। স্যানিটাজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এমনকি মাস্ক ছাড়া যে যাতে পুজো মন্ডলের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও জমায়েত রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা পরিকল্পনা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Recommended Video
