পড়ুয়া আছে, তবে নেই কোনও শিক্ষক বা মিড ডে মিলের ব্যবস্থা, কেমন করে চলছে স্বরূপনগরের স্কুল!
স্কুল আছে, শিক্ষক নেই। ছাত্র-ছাত্রী আছে, মিড ডে মিল নেই। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খোলা হয় স্কুল।
স্কুল আছে, তবে শিক্ষক নেই। ছাত্র-ছাত্রী আছে, তবে মিড ডে মিল নেই। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খোলা হয় স্কুল। বাকীদিন বন্ধ থাকে। এমনই হতশ্রী দশা বনগাঁর স্বরূপনগর এলাকার একটি স্কুলের।
রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের নেতা- নেত্রীদের দাবি রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে ঘটা করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাকিমপুর বিথারী গ্রাম পঞ্চায়েতের দহর কান্দা গ্রামে ২০১৩ সালে 'দহরকান্দা জুনিয়র হাই স্কুল' তৈরি হয়েছিল। তারপর সরকারি অনুমোদনও পায় এই স্কুল।
তৈরি হয়েছে স্কুলের বিল্ডিং। তবে স্কুলে নেই কোনও শিক্ষক। বর্তমানে এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করতে পারবে। কিন্তু নেই শিক্ষক, আছেন একজন টিচার ইনচার্জ।
মাঝেমধ্যে দেখা সেই টিচার ইনচার্জ কোরবানউদ্দিনকে দেখা যায় স্কুলে। স্কুল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে থাকেন তিনি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে স্কুলে আসেননা। ছাত্রছাত্রীদের এসে ফিরে যেতে হয়। ফলে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে।
বর্তমানে ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে একই ঘরে ক্লাস ফাইভ থেকে এইট পর্যন্ত একই সঙ্গে চলছে পড়াশোনা। স্কুল চলে সপ্তাহে এক থেকে দু'দিন। বাকি দিন বন্ধ থাকে এই স্কুল। চরম দুর্ভোগে ছাত্রছাত্রীরা।
রাজ্য সরকারের তরফে তৈরি করা হয়েছিল এই স্কুল। কিন্তু কেন এই স্কুলের এমন দশা? নেই শিক্ষক, নেই মিড ডে মিলের ব্যবস্থা। আগামী দিনে অর্থাৎ দুমাস পরে কোরবানউদ্দিন টিচার ইনচার্জ পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন। তারপর এই দহরকান্দা জুনিয়র হাইস্কুল যে অতল অন্ধকারে তলিয়ে যাবে তা আন্দাজ করা যাচ্ছে।