নিয়োগ হচ্ছে নোডাল অফিসার, হবে না রোড শো! ভোটের আগে একাধিক গাইডলাইন কমিশনের
নিয়োগ হচ্ছে নোডাল অফিসার, হবে না রোড শো! ভোটের আগে একাধিক গাইডলাইন কমিশনের
ঝড়ের গতিতে বাড়ছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আজ সোমবার এই সংখ্যাটা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। এই অবস্থায় আজ সোমবার থেকে রাজ্যে ফের একবার করোনা বিধি লাঘু করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে একটাই চ্যালেঞ্জ যেভাবে হোক করোনার সংক্রমণ রুখতেই হবে।
২২ জানুয়ারি পুর নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে একটা জল্পনা
তবে একগুচ্ছ করোনা বিধি লাগু করা হলেও আগামী ২২ জানুয়ারি পুর নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়। যদিও এদিন কমিশনে একটি বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠক শেষে স্পষ্ট ভাবে কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, চার পুরসভায় ভোট হচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট হবে বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি। তবে এই বৈঠকের পরেই কমিশনের তরফে একগুচ্ছ বিধি দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের তরফে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে একগুচ্ছ গাইড লাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে এই ভোট হবে বলে জানানো হয়েছে। আর তা করতে কয়েকটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এই অফার কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না তা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে প্রার্থী, এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট, কাউন্টিং এজেন্টকে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটও জমা রাখতে হবে।
প্রচারের ক্ষেত্রেও কড়া কমিশন
প্রচারের
ক্ষেত্রেও
কড়া
কমিশন।
কোনও
রোড
শো
করা
যাবে
না।
গাইডলাইনে
স্পষ্ট
জানিয়ে
দ্দেওয়া
হয়েছে
পদযাত্রা
করার
জন্যে
অনুমতি
নিতে
হবে।
সাইকেল,
গাড়ি,
বাইক
নিয়েও
প্রচারে
না
কমিশনের
তরফে।
বাড়ি
বাড়ি
গিয়ে
প্রচারেও
একগুচ্ছ
নির্দেশ।
যেমন
সর্বোচ্চ
পাঁচজনকে
নিয়ে
প্রচার
পর্ব
চালানো
যাবে।
কোনও
আটকানো
জায়গাতে
সভা
করা
যাবে
না।
খোলা
মাঠে
সর্বোচ্চ
৫০০
জনকে
নিয়ে
সভা
করা
যাবে।
তবে
সেখানে
ঢোকা
এবং
বের
হওয়ার
গেট
আলাদা
হবে।
অডিটোরিয়াম
হলে
২০০
মানুষ
সর্বাধিক
বা
আসন
সংখ্যার
অর্ধেক
অনুমতি
পাবেন।
অন্যদিকে
প্রচারের
সময়ও
কিছু
কমিয়ে
দেওয়া
হয়েছে।
কমিশনের
দেওয়া
গাইড
লাইন
অনুযায়ী
সকাল
৯
টা
থেকে
রাত
৮টা'র
মধ্যেই
সারতে
হবে
প্রচার।
চরম বিতর্ক
যেভাবে ওমিক্রন বাড়ছে তাতে আতঙ্ক বাড়ছে। এই অবস্থায় চার পুরসভায় ভট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধীরা। কিন্তু সে কথায় কার্যত কান দিল না নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ভোটের নামে প্রহসন চলছে। লুঠ হবে ধরে নেওয়াই যাচ্ছে। আর এই নির্বাচন কমিশন সবদিক থেকে শাসকদলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলে দাবি সুজনের। অন্যদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী নাকি আইসোলেশনে রয়েছেন। সেখানে আর কি বলার রয়েছে। কার্যত বিজেপির তরফেও ভোট পিছানোর দাবি জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলারও দাবি।