মাত্রাতিরিক্ত দূষণে প্রাণবায়ু হারিয়ে নিঃশেষ হওয়া পথে আদিগঙ্গা
প্রাণবায়ু হারিয়ে ধুঁকছে আদি গঙ্গা! তাই কোনও জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা দুরুহ গঙ্গাবক্ষে বা গঙ্গাগর্ভে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে৷
কলকাতা, ১৮ নভেম্বর : প্রাণবায়ু হারিয়ে ধুঁকছে আদি গঙ্গা! তাই কোনও জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা দুরুহ গঙ্গাবক্ষে বা গঙ্গাগর্ভে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে৷ বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশের পর স্তম্ভিত পরিবেশকর্মীরা। স্তম্ভিত বিচারপতিরাও। জোয়ার হোক বা ভাটা- কোনও সময়েই অক্সিজেন প্রবেশ করেন আদিগঙ্গার জলে। শুধুই দূষণে ছেয়েছে ঐতিহ্যের এই আদি গঙ্গা। মল-মূত্র আর আবর্জনা গ্রাস করে নিয়েছে সমস্ত প্রাণবায়ু।
আদি গঙ্গার দূষণের প্রতিবাদে ও সংস্কারের দাবিতে মামলা দায়ের করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল৷ এরই প্রেক্ষিতে আদি গঙ্গার জলে দূষণের মাত্রা মাপতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নির্দেশ দেয় পরিবেশ আদালত৷ মোট ছ'টি জায়গা থেকে জল পরীক্ষা করা হয়। পাঁচটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হন কোনও ডিজলভ অক্সিজেন নেই ওই নমুনায়। একটি ক্ষেত্রে অবশ্য কিঞ্চিত অক্সিজেন পাওয়া গিয়েছে।
পর্ষদের এই রিপোর্ট দেখে পরিবেশরা মনে করছেন, আদি গঙ্গার জলে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, জলস্তর বাড়লেও অক্সিজেনের প্রবেশ ঘটছে না। উল্লেখ্য, জোয়ারের সময় আদি গঙ্গায় অন্তত ১২ ফুট জলস্তর বাড়ে। সেই জলের নমুনাতেও অক্সিজেন মেলেনি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পরীক্ষা করার সময় অবাক হয়ে যায়। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেন, যেখানে ১০০ মিলিলিটার জলে মল-মূত্র থেকে নিঃসৃত ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ ৫০০ এমপিএন থাকার কথা, সেখানে আদিগঙ্গার জলে ৩০ থেকে ৯০ লক্ষ রয়েছে।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ প্রমাণ করে দিয়েছে আদিগঙ্গার জলে শুধু মল-মূত্র রয়েছে। অক্সিজেনের লেশমাত্রভাগ নেই। কলকাতা পুরসভার ৫১টি নিকাশি নালার দূষিত পদার্থ আদি গঙ্গায় পড়ে। ফলে দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক খাটাল ও জঞ্জাল ফেলার জায়গা৷
আদি
গঙ্গার
জলের
এই
রিপোর্টে
হাতে
পাওয়ার
পর
বিচারপতি
এস
ওয়াংদি
ও
বিশেষজ্ঞ
সদস্য
প্রতাপ
মিশ্র
রায়
দেন,
খাটালগুলি
দ্রুত
সরিয়ে
ফেলে
সেখানে
বাগান
তৈরি
করতে
হবে৷
যাঁরা
আদি
গঙ্গায়
জঞ্জাল
ফেলবেন
তাঁদের
জরিমানা
করার
নির্দেশ
দিয়েছে
আদালত৷
রাজ্যের
তরফ
থেকে
আদি
গঙ্গার
দূষণ
নিয়ন্ত্রণে
অ্যাকশন
প্ল্যান
তৈরি
হয়েছে
বলে
দাবি
করলেও
পুরসভা
আদালতে
জানায়,
এখনও
তারা
কোনও
অ্যাকশন
প্ল্যান
হাতে
পায়নি৷
এ
বিষয়ে
ফের
মুখ্যসচিবের
জবাব
তলব
করেছে
আদালত৷