আর লাইনে দাঁড়ানো নয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবার পাওয়া যাবে স্মার্টফোনেই
স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে অনেকসময়ই রোগীদের পরিবারকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু এবার সেই সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে বেশ কিছু হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, রোগীর টেস্ট রিপোর্টগুলি এবার থেকে মোবাইল ফোনেই পাওয়া যাবে। অনলাইনে সেই রিপোর্টগুলি দেখতে পারবেন রোগীর পরিবার। তবে যদি কারোর স্মার্ট ফোন না থাকে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু হাসপাতাল বিশেষ কিয়স্কের ব্যবস্থা করেছে, যেখান থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট এবার অনলাইনে দেওয়া উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কম্পিউটারাইজড এই পদ্ধতি বর্তমানে চালু করা হয়েছে কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগ রোগীদের জন্য এবং এই মুহূর্তে এই হাসপাতালগুলিতে যে সব রোগী ভর্তি রয়েছেন তাঁদের জন্য। প্রাথমিকস্তরে এই প্রকল্পটি সফল হলে স্বাস্থ্য দপ্তর পরিকল্পনা করেছেন যে এন্য সরকারি হাসপাতালেও এই পরিষেবা শুরু করে দেবে।
তবে এইচআইভি–এইডস সহ গোপন রিপোর্ট যদিও বর্তমানে অনলাইনে পাওয়া যাবে না। স্বাস্থ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, স্মার্ট ফোনে খুলতে হবে http://onlinehmis.wbhealth.gov.in/। এই সাইটে গিয়ে 'অনলাইন টেস্ট রিপোর্ট’ বিভাগে ক্লিক করতে হবে। তবে রোগীর বিবরণ তাঁকে জানতে হবে। যেমন রোগীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বয়স ও লিঙ্গ জানাতে হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'এটা নতুন একটি উদ্যোগ এবং কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা প্রথম প্রথম হবে। এই পদ্ধতিটি যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, যাতে তা অন্য হাসপাতালেও চালু হতে পারে।’
স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, রোগীদের নথিভুক্ত করা মোবাইল নম্বর থেকেই অনলাইনে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। যাঁদের কাছে স্মার্টফোন নেই, তাঁরা বিশেষ কিয়স্ক থেকে তা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন অথবা হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (এমসিএইচ) বিশেষ কম্পিউটারাইজড কিয়স্ক চালু করা হয়েছে, যেখানে রোগীর পরিবার রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছেন। এমনকী রাতেও রিপোর্ট সংগ্রহ করা যাচ্ছে। কারণ ওই সময়ে সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিষেবা রোগীর পরিবারকে অনেকটাই শান্তি দিয়েছে বলে জানান এমসিএইচের সুপারিটেনডেন্ট ও অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও এই নতুন পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে।