ব্রিটেন থেকে আসা বিমান নামবে না কলকাতায়! বাংলায় থার্ড ওয়েভের আতঙ্কে আরও কড়া রাজ্য সরকার
বাংলায় থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলার পরিস্থিতিতে বড়সড় বদল আসতে পারে। প্রত্যেকদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে করা এক পর্যবেক্ষণে এমনটাই মারাত্মক
বাংলায় থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলার পরিস্থিতিতে বড়সড় বদল আসতে পারে। প্রত্যেকদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে করা এক পর্যবেক্ষণে এমনটাই মারাত্মক তথ্য উঠে এসেছে। আর তা উঠে আসার পরেই কার্যত ঘুম উবে গিয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
এই অবস্থায় তিন তারিখ থেকেই রাজ্যে কড়া বিধি নিষেধ আরোপের পক্ষে সরকার।
আর এই অবস্থায় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার। আপাতত কলকাতায় নামবে না কোনও ব্রিটেনের বিমান। এই মুহূর্তে ব্রিটেনে ব্যাপক ভাবে করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় এক লক্ষ করে সেখানে মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। একেবারে চূড়ান্ত সতর্কতায় রয়েছে সে দেশ।
আর এই অবস্থায় ব্রিটেনের কোনও বিমান কলকাতায় নামার উপর সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী তিন তারিখ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে চলেছে।
ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রককে এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে অন্যান্য দেশগুলি থেকে বিমান কলকাতায় নামলেও প্রত্যেকটি যাত্রীকেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। আর তা করাতে হবে যাত্রীর টাকাতেই। তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। করোনা পজিটিভ আসলে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে থাকার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার বাইরে থেকে আসা বিমানগুলি থেকে সবথেকে বেশি ওমিক্রন ছড়াচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিটেন থেকে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত এ দেশে আসছে বলেও মন্তব্য তাঁর। ফলে এই বিষয়ে কেন্দ্রের দেখা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানা যাচ্ছে, এরপরেই রাজ্যের তরফেও বিষয়টি দেখা হয়।
আর এরপরেই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বুধবারই রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী তিন তারিখ থেকে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির কথা বলেন। তাঁর কথাতেও থার্ড ওয়েভের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
আর এরপরেই আজ স্বাস্থ্যদফতরের একটি পর্যবেক্ষণে উঠে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য। যদিও এখনও রাজ্যের তরফে কড়া মনোভাব প্রকাশ করা হলেও সেভাবে কোনও বিধি নিষেধের পক্ষে নন মুখ্যমন্ত্রী।
গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে মমতা জানিয়েছেন, ''করোনার জন্য অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার নতুন করে সব কিছু বন্ধের পথে গেলে সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তবেই এ ব্যাপারে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।''
ফলে সবটাই চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।