বাংলাকে ‘বঞ্চনা’ করলেন রাহুল! প্রণব-প্রিয়’র মতো নেতার অভাব অনুভূত হচ্ছে এবার
এতদিন প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো নেতা সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে ছিলেন। রাহুল জমানায় ওয়ার্কিং কমিটি ভেঙে স্টিয়ারিং কমিটিতে বাংলার কোনও নেতাই ঠাঁই পেলেন না।
প্রণব মুখোপাধ্যায়-প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো নেতা নেই। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কমিটিতে নেই বাংলার কোনও প্রতিনিধিও। এতদিন প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো নেতা সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে ছিলেন। রাহুল জমানায় ওয়ার্কিং কমিটি ভেঙে স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি হল। কিন্তু বাংলার কোনও নেতাই সেই কমিটিতে ঠাঁই পেলেন না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাহুল গান্ধীর খুবই কাছের লোক। তাঁর হাতে বাংলার দায়িত্ব পুনরায় দিয়েছেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি রাহুল গান্ধী। আস্থা রেখেছেন তাঁর উপরই। তা বলে তাঁকে বাংলা থেকে স্টিয়ারিং কমিটিতে রাখার মতো ধৃষ্টতা দেখাননি রাহুল গান্ধী। শুধু তিনি কেন, বাংলার কোনও প্রতিনিধিকেই তিনি নবগঠিত স্টিয়ারিং কমিটিতে রাখলেন না। ৩৪ জনের কমিটিতে বাংলার সদস্য সংখ্যা শূন্য।
কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রাহুল গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটিতে এতদিন হাত দেননি। পুরনো কমিটিই দায়িত্বে ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু ২০১৯-এর লক্ষ্যে রাহুল মন দিলেন তাঁর ব্রিগেডকে নতুন করে সাজাতে। সেই কারণে ওয়ার্কিং কমিটি ভেঙে দিয়ে তিনি তৈরি করলেন স্টিয়ারিং কমিটি। সামনেই এআইসিসি-র প্লেনারি সেশন। এই অধিবেশনের দায়িত্বে থাকবে নতুন স্টিয়ারিং কমিটিই।
এই কমিটিতে প্রথম দুই নামের যেমন হেরফের হয়েছে, তেমনই বেশ কিছু নতুন নাম এসেছে। বাদ গিয়েছে পুরনো নাম। এতদিন এক নম্বরে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ছিলেন দু-নম্বরে। এবার রাহুলের নাম এক নম্বরে রয়েছে, দু-নম্বরে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। আছেন মনমোহন সিং, এ কে অ্যান্টনির মতো প্রবীণরা। রয়েছেন চিদম্বরম, কমলনাথ, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, আনন্দ শর্মা, দিগ্বীজয় সিং, আহমেদ প্যাটেল, অম্বিকা সোনির মতো নেতা-নেত্রীরাও। কিন্তু নাম নেই অমরিন্দর সিং, এমবি রাজশেখৎ, শিবাজি রাও দেশমুখের মতো সক্রিয় সদস্যরা। নাম নেই রাহুল-ব্রিগেডের দুই মুখ শতীন পাইলট, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারও।
আর নেই বাংলার একজনও মুখ। সেই ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকে যে কমিটিতে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল বাংলার নেতৃত্বের। এবার বাংলার নেতা শূন্য কমিটি কংগ্রেসের। প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো নেতারা এই সদস্যপদ অলঙ্কৃত করলেও, এখন সেই জায়গায় কোনও নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা নিজেদের সেই জায়গায় তুলে ধরতে ব্যর্থ।