তালিকা তৈরি করছেন সুনীল মণ্ডল, শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ ৬০ বিধায়কের!
বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। বিধানসভা থেকে বেরিয়েই কাঁথিতে ফিরে না গিয়ে বুধবার দিল্লি হাইওয়ে রাস্তা ধরে শুভএন্দুর গাড়ি। এরপরই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তবে সুনীল মণ্ডলের বাড়িতেই যাচ্ছেন শুভেন্দু। দেখা গেল, সেটাই করলেন শুভেন্দু।
সুনীল মণ্ডলের কাঁকসার বাড়িতে শুভেন্দু
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের কাঁকসার বাড়িতে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। ছিলেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তাছাড়াও ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান, দুর্গাপুর পৌরসভার ৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়, গুসকরা পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়।
৬০ জন বিধায়ক যোগ দেবেন বিজেপিতে
এই বৈঠক প্রসঙ্গে নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, 'সুনীল দাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কারা যোগ দেবে তার তালিকা তৈরির। এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত বলতে পারি তৃণমূলের ৬০ জন বিধায়ক যোগ দেবেন।' এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'যে লোভী সে চলে যাবে, যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সে চলে যাবে। যারা বলছেন তাঁরা চলে যাক, কিছু যায় আসে না।'
আইপ্যাকের বিরুদ্ধে সুনীল মণ্ডলের বিষোদগার
এই বৈঠক প্রসঙ্গে সুনীল মণ্ডল বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি কেন এই সিদ্ধান্ত নিলে? ও বলেছে এভাবে দল চলতে পারে না। কোনও মাথা নেই। কোনও সাংগঠনিক জায়গা নেই।' নেত্রী একটা জায়গায় বারবার হোঁচট খাচ্ছে। আইপ্যাক যদি না আসত, আমার মনে হয় এই জায়গা তৈরি হত না। এমনটাও জানান সুনীল মণ্ডল।
এখনও গৃহীত হয়নি শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা
এদিকে এখনও গৃহীত হয়নি শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা। এই ইস্তফার বিষয়ে কিছু জানেন না অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ যখন শুভেন্দু অধিকারী আসেন, সেই সময় বিধানসভায় ছিলেন না অধ্যক্ষ। তিনি ছিলেন বারুইপুরে৷ বলেন, 'শুভেন্দুর বিষয়টা জানি না৷ বিধানসভা থেকেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি৷ যা জেনেছি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি৷'
শুভেন্দু পর্বে আসল 'কালপ্রিট' কে? দাদা বনাম দিদির দ্বন্দ্ব শুরু হয় কার অঙ্গুলিহেলনে