মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ নিয়ে বিজেপির অন্দরেই ভিন্ন সুর, নীতিন-নির্মলার ব্যাখ্যায় ফারাক
মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে উন্নয়নের জন্য তিন লক্ষ কোটি টাকার জামানত-মুক্ত ঋণ প্রদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী সীতারামন।
মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে উন্নয়নের জন্য তিন লক্ষ কোটি টাকার জামানত-মুক্ত ঋণ প্রদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী সীতারামন। কিন্তু তাঁর দলেরই আর এক মন্ত্রীর মুখে শোনা গেল ভিন্ন সুর। মোদীর ক্যাবিনেট মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেন, এই ক্ষেত্রটি প্রবল চাপে রয়েছে। এখানে বকেয়াই রয়েছে মোট পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির দুই মন্ত্রীর মুখে পরস্পরবিরোধী কথা শোনা গিয়েছে। নীতীন গড়করি জানিয়েছেন, এই এমএসএমই ক্ষেত্রে যে বিপুল বকেয়া তার মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পরিচালিত সংস্থা ও বড় কর্পোরেশনগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গড়কড়ি জানিয়েছেন, বকেয়ার সঠিক হিসেবও পাচ্ছে না।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সীতারামন বলেন, গড়করি কেবল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেই নয়, বৃহত্তর কর্পোরেশনগুলির পাওনাও উল্লেখ করেছেন। এমএসএমইগুলির জন্য প্রতিরক্ষা, রেলপথ এবং কেন্দ্রীয় পিএসইউ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রনালয়ের পাওনা ১০ হাজার কোটি টাকারও কম ছিল।
বৃহস্পতিবার গড়করি এমএসএমই বিষয়ে বিতর্ক উত্থাপন করে বলেছিলেন, এমএসএমইদের বকেয়া সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। এটি রাজ্য সরকার এবং বড় শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি থেকে আসছে। তা পাঁচ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি হবে।
এই পোর্টালে এমএসএমইগুলির বকেয়া পাওনার সরকারি আনুমানিক হিসাব প্রায় ১০ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এবং এর দ্বারা পরিচালিত পিএসইউগুলিতে ২,৩৯৯ কোটি টাকা, রাজ্য এবং তাদের পিএসইউগুলির পাওনা ২,৫২২ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের ৬,০৩৫ কোটি রুপি।