
covid norms: করোনায় অনেকটাই সুস্থ বাংলা! মধ্যরাত থেকেই উঠে যাচ্ছে সমস্ত রকম বিধি
করোনায় অনেকটাই সুস্থ বাংলা। ১০০ এর নীচে নেমে গিয়েছে বাংলায় করোনা সংক্রমণের হার। এমনকি মৃত্যুও প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে আর করোনা বিধি লাগুর প্রয়োজনীয়তা দেখছে না রাজ্য সরকার।
আর আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকেই বাংলায় আর কোনও কোভিড বিধি থাকছে না। সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলার চিকিৎসকদের একাংশও।

একাধিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল-
আজ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলায় করোনা বিধি লাগু ছিল। আর সেই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা রাত ১২ টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে রাত ১২ টার পর নতুন করে আর বিধি নিষেধ কার্যকর করা হচ্ছে না বাংলায়। গত দুবছর ধরে করোনা পরিস্থিতি ছিল। প্রথম করোনা ঝড় সামলে ওঠার কয়েক মাস মধ্যেই আছড়ে পড়ে করোনা দ্বিতীয় ঢেউও। এমনকি সম্প্রতি থার্ড ওয়েভও বয়ে গিয়েছে বাংলার উপর দিয়ে। আর দীর্ঘ সময়ে একাধিক বার নানা বিধি লাগু করা হয়। এমনকি লকডাউন পর্যন্ত জারি করা হয়েছে।

উঠল রাত্রিকালীন সমস্ত বিধিনিষেধও
আর দীর্ঘ দুবছরে দিনে করোনা বিধি কিছুটা হলেও শিথিল করা হলেও রাতে নাইট কার্ফু বজায় ছিল। কখনও ৯টা থেকে তো আবার কখনও রাত ১২ টা থেকে কড়া বিধি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাও আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকে উঠে যাচ্ছে। নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে আজ ১২ টার পর থেকে বাংলায় আর কোনও কোভিড বিধি থাকছে না। এমনকি তুলে নেওয়া হল রাত্রিকালীন সমস্ত নিষেধাজ্ঞাও।

সুস্থ বাংলা
ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছে বাংলা। সংক্রমণের আতঙ্ক কাটিয়ে সাহসীও হয়ে উঠেছেন বাংলার মানুষ। প্রত্যেকদিনের সংক্রমণের হার ৫০ এর নীচে এসে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আলোচনা করেই এহেন বিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে রাজ্যের তরফে জারি বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি সোশ্যাল ডিসটেন্সও অবশ্যই মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকমহল
গত কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের তরফেও সমস্ত বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। গোটা দেশেও সংক্রমণ নিম্নমুখী। বাংলাতেও সংক্রমণ ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের সম্পূর্ণ ভাবে আনলকিংয়ে চলে যাওয়া উচিৎ। কিন্তু সতর্ক থাকাটা খুব প্রয়োজন। কারণ ইতিমধ্যে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সব দেশের মানুষ সব জায়গাতে যেতে পারবে। এতে ফের একবার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আর সেখানে মাস্ক বাধ্যতামূলক বলে বার্তা চিকিৎসকদের।