মোমিনপুর কাণ্ডে JMB যোগ, চারটি বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা
মোমিনপুর কাণ্ডে JMB যোগ, চারটি বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা
মোমিনপুরে হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জেএমবির যোগ পেয়েছে এনআইএ। বুধবার সকাল থেকে শহরের ১৭টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল টাকা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের একবালপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে আবার একবালপুরে তল্লাশি চালানোর সময় এনআইএ-কে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। ওয়ারেন্ট ছাড়া কীভাবে তারা তালা ভেঙে তল্লাশি চালাচ্ছেন তা নিয়ে এনআইএ-র গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেএমবি যোগ
জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ। ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দেশেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন। এরা আলকায়দার শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করে থাকে। সেই জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে মোমিনপুর কাণ্ডে যোগ মিলেছে। চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে এনআইএ তদন্তকারীদের। আগে থেকেই তাঁরা সন্দেহ করেছিলেন যে তদন্তকারীরা জামাত উল মুজাহিদিন নামে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগা রয়েছে। সেই সন্দেহ ক্রমশ নিশ্চিত হতে শুরু করেছে। রাজ্যে আগেই একাধিকবার জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। খাগড়াগড় কাণ্ডেও জেএমবি যোগ পাওয়া গিয়েছিল। এবার আবার মোমিনপুর হিংসা কাণ্ডেও জেএমবি যোগ মিলেছে। তাতেই শঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে।
শহরে একাধিক জায়গায় তল্লাশি
বুধবার সকাল থেকেই শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনআইএ। ভূকৈলাস রোড সহ কলকাতা শহরের একাধিক তল্লাশি চালিেয় চারটি বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মোমিনপুর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এলাকা বলেই পরিচিত। সেখানে জঙ্গিযোগের খোঁজ মেলায় আরও বেশি করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মোমিনপুর কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে এনআইএ। একটি ব্রিফকেসের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল টাকাগুলি। ৫০০ টাকার ১১টি বান্ডিল এবং বেশ কিছু কাগজ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতাতে জঙ্গি যোগ
একদিন কলকাতা শহরের বাইরে বিভিন্ন সীমান্ত বর্তী জেলা শহরে জঙ্গি ডেরার হদিশ মিলেছিল। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জায়গায় জেএমবি জঙ্গিদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কলকাতা শহরে জেএমবি যোগে হিংসার ঘটনা ভাবিতে তুলেছে তদন্তকারীদের। রাজধানীও জঙ্গিদের সন্ত্রাস থেকে মুক্ত নয়। যেকোনও সময় কলকাতা শহরে বড় জঙ্গি হামলা ঘটতে পারে। এই ভাবনা চিন্তাও এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
মোমিনপুর কাণ্ডে জেএমবি যোগ মেলায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন কলকাতাও জঙ্গিদের নজর থেকে দূরে নেই। রাজ্য পুলিশ এতদিন কী করছিল এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মোমিনপুর ফিরহাদ হাকিমের এলাকা বলেই পরিচিত। রাজ্যের মন্ত্রী জানেন না তার এলাকায় কারা রয়েছেন। নাকি মন্ত্রী জেনেও না জানার ভান করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
'১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও...', কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মুড়িগঙ্গাতে ব্রিজ তৈরির স্বপ্ন দেখালেন মমতা