নয়া মোড়! শীতলকুচি-কাণ্ডে পদক্ষেপ করতে ডিজিকে নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
ভোট মিটে যাওয়ার পরেও এখন টাটকা শীতলকুচি-কাণ্ড। ভোট মিটে যাওয়ার পড়েই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সিট গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে একাধিক প্রশাস
ভোট মিটে যাওয়ার পরেও এখন টাটকা শীতলকুচি-কাণ্ড। ভোট মিটে যাওয়ার পড়েই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সিট গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিককে জেরা করেছে সিআইডি।
তলব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের। কেন গুলি চালাতে হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়ে বাহিনীর জওয়ানদের তলব করা হয়েছে। যদিও এখনও তাঁরা হাজিরা দেননি । যা নিয়ে নতুন করে সংঘাত তৈরি হয়েছে।
পুলিশকে নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী রাধাকান্ত ত্রিপাঠীর আবেদনে সাড়া দিয়ে মানবাধিকার কমিশনের তরফে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী দল বা সিট নিজেদের মতো তদন্তের কাজ শুরুও করেছে। এরই মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজিকে নির্দেশ দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ডিজি পদে ছিলেন না বীরেন্দ্র
শীতলকুচি কাণ্ড যখন হয় সেই সময় ডিজি পদে ছিলেন না বীরেন্দ্র। বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই বীরেন্দ্রকে ফিরিয়ে আনেন। ফলে কিভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয় তা নিয়েও প্রস্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
শীতলকুচি কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ
গত কয়েকদিন আগেই শীতলকুচি-কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআইডির আধিকারিকরা। জোড়পাটকি স্কুল এলাকায় যায় সিআইডির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডির ডিআইজি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, শীতলকুচির গুলিকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করতে সিআইডির প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গেলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযুক্ত জওয়ানদের কাউকেই দেখা যায়নি। তদন্তকারী আধিকারিকরাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
হস্তক্ষেপ চেয়ে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার দ্বারস্থ
উল্লেখ্য ভোট চলাকালীন শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত মাথাভাঙা ব্লকের জোরপাটকায় আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বুথে অশান্তির সময় সিআইএসএফ গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় ৪ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে, নিহতদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুর কারণ বুলেটের আঘাত। চতুর্থ জনের দেহে স্প্লিন্টারের ক্ষতচিহ্ন মিললেও বুলেটের আঘাত মেলেনি। সে সময় তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হিওয়েছে। গুলিচালনার ঘটনায় ছ'জন সিআইএসএফ জওয়ানকে জেরার জন্য তলব করা হলেও তাঁরা আসেননি। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা এপ্রিল মাসেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল।