সম্ভবত জুনেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পক্ষে তৃণমূল, কারণ জেনে নিন
সম্ভবত আগামি বছরের জুন মাসেই হতে যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট। নবান্ন সূত্রে খবর এমনটাই। সূত্রের খবর, শাসক দলের পক্ষ থেকে মার্চ-এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি উঠলেও তাতে জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা।
সম্ভবত আগামি বছরের জুন মাসেই হতে যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট। নবান্ন সূত্রে খবর এমনটাই। সূত্রের খবর, শাসক দলের পক্ষ থেকে মার্চ-এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি উঠলেও তাতে জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামি জুন মাসেই হতে যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট। নবান্ন সূত্রে খবর, আপাতত সিদ্ধান্ত পাঁচ দফায় ভোট হতে পারে। জুনে ভোট হলে, মে মাসের মাঝামাঝি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করার সম্ভাবনা। আর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে সেপ্টেম্বরে।
সূত্রের খবর, শাসকদলের অন্দর থেকে মার্চ-এপ্রিলে ভোট করানোর দাবি উঠলেও, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন সেপ্টেম্বরের আগে নতুন বোর্ড গঠন সম্ভব নয়। আগে ভোট নেওয়া হলেও, বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা ভেঙে দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। নির্বাচিত হওয়ার পর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্যদের তিনমাসের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণও নিতে হয়।
অন্যদিকে, জুন মাসে ভোট হলে, কোনও বড় পরীক্ষাও নেই সেই সময়ে। মার্চে শেষ হচ্ছে মাধ্যমিক। উচ্চমাধ্যমিক শেষ হচ্ছে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এছাড়াও জয়েন্ট এবং স্নাতকস্তরের পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাবে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে।
যদিও, রাজ্যের বিরোধীদলগুলির ব্যাখ্যা অন্য রকমের। দলের নামে মার্চ-এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোটের কথা তুলে আদতে জুন মাসেই ভোটের পক্ষপাতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা সেক্ষেত্রে হাতে বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। আপাত দৃষ্টিতে পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা থাকলেও, মুকুল রায়ের দলবদলে বেশ কিছু জায়গায় চ্যালেঞ্জের মুখে তৃণমূল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আর পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খেলে তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে পড়তে বাধ্য। সব দিক থেকেই জুন মাসই পঞ্চায়েত ভোটের পক্ষে আদর্শ বলে মনে করছে সরকারি দল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, যেসব জেলায় তৃণমূলের পরিস্থিতি তুলনামূলক খারাপ সেইসব জায়গায় সরকারি সভার মোড়কে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে প্রকল্পের তালিকা দিয়ে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পর্যন্ত প্রচারের গুরুদায়িত্ব সামলেছেন মুকুল রায়। কোথাকার কী অসুবিধা তারও তালিকা তৈরি করতেন মুকুল রায়। সেই অনুযায়ীই চলত কাজ। কিন্তু তাঁর দলবদলে কোন এলাকায় কোন ধরনের অসুবিধা রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করতে সাংসদ, বিধায়ক ও স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
সেক্ষেত্রে জুন মাসে নির্বাচন হলে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।