থার্ড ওয়েভ সামলাতে বেড থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রাখার নির্দেশ! ওমিক্রন পরীক্ষা নিয়েও বড় পদক্ষেপ
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আর তা বাড়ছে একেবারে ঝড়ের গতিতে। প্রায় ২ হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। যা রীতিমত ভয়ের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, পূর্বাভাস মতো বাংলা ক্রমশ থার্ড ওয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি দ
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আর তা বাড়ছে একেবারে ঝড়ের গতিতে। প্রায় ২ হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। যা রীতিমত ভয়ের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, পূর্বাভাস মতো বাংলা ক্রমশ থার্ড ওয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে এমনটাই আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
শুধু করোনা নয়, বাংলাতে রীতিমত চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রনও। এই অবস্থায় আজ সোমবার ফের একবার জরুরি বৈঠকে বসে স্বাস্থ্যদফতর। শুধু তাই নয়, ওমিক্রন নিয়েও নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।
গত কয়েকদিনে একাধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের অন্যান্য পরিষেবাও। আর সেদিকে তাকিয়ে এদিন জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেনস্বাস্থ্য অধিকর্তা ও শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
এছাড়াও সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা এই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বেসরকারি হাসপাতালের আধিকারিকরাও। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এই স্বাস্থ্য ভবনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা যায়।
তবে এদিনের বৈঠকে ফের একবার হাসপাতালগুলিকে দ্রুত পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কোভিড বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকে সে দিকে নজর দিতে হবে।
এছাড়াও প্রত্যেকদিনের করোনা সংক্রান্ত আপডেট স্বাস্থ্য ভবনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে ক্রমশ সরকারি হাসপাতালগুলিতে কমছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা। আর এই অবস্থায় কীভাবে পরিষেবা ঠিক রাখা যায় সেই বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বৈঠকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়তি সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে করোনার পাশাপাশি ওমিক্রন নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদের। এই মুহূর্তে সংক্রমণের নিরিখে প্রথম ১০ এর মধ্যে যে রাজ্যগুলি রয়েছে তাতে ১০ নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ফলে চিন্তা বাড়ছে। এই অবস্থায় ওমিক্রন পরীক্ষা নিয়ে নয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। বেসরকারি ল্যাবগুলিকে এবার থেকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য আর নমুনা পাঠানো যাবে না।
বিদেশ থেকে আসেননি, ইতিহাসও নেই বিদেশে যাওয়ার, এমন ক্ষেত্রে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বেসরকারি ল্যাবগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকের পর তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে খবর। যদিও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।