হেলমেট না পরলে স্টার্ট হবে না বাইক, নয়া প্রযুক্তির আবিষ্কার নদিয়ার শিক্ষকের
নদিয়া, ২৭ অক্টোবর : হেলমেট না পরলে স্টার্ট হবে না বাইক। এমনই এক সেন্সর আবিষ্কার করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন নদিয়ার এক শিক্ষক। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের লক্ষ্যে নয়া আবিষ্কৃত এই যন্ত্রই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের সহায়তায় নদিয়ার শিক্ষক সৌরেন ভট্টাচার্য তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই নয়া প্রযুক্তির আবিষ্কারে।
রাজ্যজুড়ে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্পের বাস্তবায়নে এতদিন কত না পন্থা অবলম্বন করতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশ ধরপাকড় তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে বিনা হেলমেটে বাইক আরোহীদের পেট্রল পাম্পে তেল না দেওয়ার নিদান- কত কিছু। কিন্তু সব চেষ্টাকেই বৃথা প্রতিপন্ন করে ছেড়েছে বেয়াড়া বাইক চালক বা আরোহীরা।

সেইসঙ্গে পেট্রল পাম্পও খদ্দের না ফেরানোর নয়া দাওয়াই আবিষ্কার করে ফেলেছে। পাম্পেই রাখা থাকছে হেলমেট। হেলমেট পরে তেল নাও, তারপর খুলে রেখে গন্তব্যে যাও। সহজ পন্থা। আইনও বাঁচল, লোকসানও হল না। কিন্তু রানাঘাটের এই শিক্ষকের অভিনব আবিষ্কার নতুন পথ দেখাবে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্পে।
বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করতে অভিনব যন্ত্র আবিষ্কার করে চাকদহ বাপুজি বিদ্যাপীঠের ইতিহাসের শিক্ষক এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই আবিষ্কারে তাঁকে সাহায্য করেছে ওই স্কুলেরই দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অয়ন বিশ্বাস। শুধু এই যন্ত্রটি বাইক ও হেলমেটে ব্যবহার করলেই কেল্লাফতে। হেলমেট না পরলে বাইক চালুই করতে পারবেন না চালক!
এই নয়া যন্ত্রের আবিষ্কর্তা সৌরেনবাবু জানান, যন্ত্রটির দু'টি ভাগ। একটি থাকবে হেলমেটে। আর দ্বিতীয়টি থাকবে বাইকে। বৈদ্যুতিন তরঙ্গের মাধ্যমে ওই দুইয়ের সংযোগ থাকবে। বাইকের চালক হেলমেট পরার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চাপে হেলমেটের ভিতরে থাকা সুইচটি অন হয়ে যাবে। তারপর বৈদ্যুতিন তরঙ্গের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে যাবে বাইকের স্পার্ক প্লাগে থাকা যন্ত্রাংশের সঙ্গে।
এরপর চালক বাইক স্টার্ট দিতে পারবেন। কিন্তু হেলমেট না পরলে স্টার্ট নৈব নৈব চ। একইসঙ্গে লাগানো থাকবে অ্যালকোহল সেন্সর। মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানোর চেষ্টা করেন তাঁর নিঃশ্বাস থেকে হেলমেটে লাগানো সেন্সর অ্যালকোহলের গন্ধে বন্ধ করে দেবে স্টার্ট ।