লকডাউন এর জেরে চড়কের দেলঘর হলো প্রতিবন্ধীদের ত্রান কেন্দ্র
লকডাউন এর জের চড়কের দেলঘর হলো প্রতিবন্ধীদের জন্যেত্রান কেন্দ্র
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট বসিরহাট দুই নম্বর ব্লকের চাঁপাপুকুর ব্রাহ্মণপাড়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মূল কেন্দ্র। শতাব্দীপ্রাচীন চড়ক পুজো শিব মন্দিরের দালানে হয়। যেখানে ঠাকুর থাকার কথা সেখানে সাদা কাগজে বড় বড় করে লেখা রয়েছে ঘন্টায় ঘন্টায় হাত সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। লকডাউন মান্যতা দিন ঘর থেকে বেরোবে না। জ্বর সর্দি কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু দেশ রাজ্য লকডাউন যের করোনার সতর্কবার্তা সঙ্কট মুহূর্তে দাঁড়িয়েছে গোটা সমাজ। তাই ধর্মীয় স্থান হয়ে উঠেছে প্রতিবন্ধীদের ত্রান কেন্দ্র ।
ইতিমধ্যে শারীরিক ভাবেপ্রতিবন্ধী দিনওদরিদ্র পাশে দাঁড়িয়ে ওই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া থেকে সমাজের বিশিষ্টজনরা প্রতিদিন সকালে এক ঘন্টায় ১৮ জন মানুষকে প্রাণ দিচ্ছেন রীতিমত শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে চাল ডাল আলু সরষের তেল দুধ বিস্কুট মুড়ি। প্রতি বছরের চড়ক পূজার অর্থ বরাদ্দ হয় সেগুলো বন্ধ রেখে। সেই অর্থ দিয়ে প্রতিদিনকার চাল ডাল আলু সরষের তেল পাশাপাশি সচেতন করার জন্য স্যানিটাইজার ও ম্যাক্স বিতরণ করা হচ্ছে ।
যতদিন লকডাউন চলবে দু নম্বর ব্লকে গ্রাম থেকে প্রতিবন্ধীদের অসহায় মানুষকে খুঁজে বের করে তাদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেবে। নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছে কলেজ ছাত্ররা কুশল প্রমিতরা পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি স্বপ্না সাহা বিকাশ সরকার তাপস দাস স্থানীয় অগ্রদূত ক্লাব এর সম্পাদক তনময় গাঙ্গুলী দেবজ্যোতি ব্যানার্জি সত্যজিৎ মুখার্জি তাদের জমানো অর্থ দিয়ে লাগাতার এই কর্মসূচি নিয়েছেন। চড়ক পূজার দালান হয়ে উঠেছে প্রতিবন্ধীদের ত্রান কেন্দ্র । রীতিমতো খুশি প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে অবহেলিত মানুষরা।
করোনা দূর করুক ঈশ্বর! বিতর্কিত মন্তব্যে ঝড় তুললেন সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু