করোনা আতঙ্কের মাঝেই নয়া গিমিকে বুঁদ গ্রাম বাংলা
করোনা আতঙ্কের মাঝেই নয়া গিমিকে বুঁদ গ্রাম বাংলা
করোনা আতঙ্কের মাঝেই নতুন গিমিক ছড়িয়েছে চারিদিকে। অন্ধবিশ্বাসে ভর করে শিলের ওপর দাঁড়িয়ে যাচ্ছে নোড়া ! কোথাও বা জল ভর্তি বাতির নিচে ভারী পাথরের শীল আটকে যাচ্ছে!
আর সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই ভক্তি ভরে শুরু করে দিলেন পুজো-আর্চা। চড়কের আগে সেই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলি থেকে আসানসোল, বসিরহাট থেকে বনগাঁ বিস্তীর্ণ এলাকায়।
এর আগেও বিভিন্ন সময় না না কিছু নিয়ে গিমিক ছড়িয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। মুখের সামনে ধরলেই কখনও দুধ খেয়েছে গণেশ, কখনও বা দুধ খেয়েছে শিবের বাহন পাথরের ষাঁড়, কখনও বা তুলসী গাছের জল খাওয়ার মতো ঘটনায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটেছে। এবার ঠিক তেমনই ঘটনার সাক্ষী ধর্মপ্রাণ মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রবিবারের পর থেকেই এই ঘটনার সাক্ষী তারা। শিলের ওপর নোড়াটি সটান দাঁড়িয়ে আছে। কোনও হোলদোল নেই। আশেপাশের কয়েকজনকে ডেকে দেখাতেই সকলে বলতে শুরু করেন, স্বয়ং মহাদেব এসেছেন। এরপরই রটে যায় এলাকায়।
ফলে মহাধুমধামে শুরু হয় শিবের পুজো। কেউ ওই শিল-নোড়াতে তেল মাখিয়েছেন, কেউ ঘি। সিঁদুর-ধান-দুব্বো দিয়েও পুজো করেন, প্রদীপ জ্বালেন অনেকে। রাতেই দ্রুততার সঙ্গে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে পাশের জেলাতেও। অনেকেই মোবাইলে এই 'অলৌকিক' ঘটনার ছবি-ভি়ডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে থাকেন। ফলে হুগলি ছাড়িয়ে আসানসোল অঞ্চলেও একই দৃশ্য দেখা যায়।
অন্যদিকে,
উত্তর
২৪
পরগণার
বসিরহাট,
বনগাঁর
বিস্তীর্ণ
অঞ্চলের
মানুষও
এমন
ঘটনার
সাক্ষী।
বসিরহাটের
হাসনাবাদ
থানা
এলাকার
খরিডাঙা
গ্রামের
বাছার
পরিবারে
এদিন
দেখা
গেলো
এক
অন্য
চিত্র।
শ্যামল
বাজারের
বাড়িতে
বালতির
নিচে
ঝুলছে
শিল।
একটা
জলল
ভর্তি
বালতির
নিচে
ওইভাবে
একটি
ভারী
শিল্পের
ঝুলতে
দেখে
তাজ্জব
গ্রামবাসীরা।
জায়গাটি
গোবর
জল
দিয়ে
পরিশুদ্ধ
করে
সেখানে
ফুল
দুধ
গঙ্গা
জল
দিয়ে
শিলনোড়াকে
একসঙ্গে
পুজো
দিচ্ছেন
তারা।
তাদের বিশ্বাস ভগবান এখানেই উদয় হয়েছে। একেতে চৈত্র মাস সামনেই নীল পূজো, তার উপর করোনার আবহ। তাই শিব জ্ঞানে দুধ গঙ্গা জলে স্নান করছে শিলনোড়া।
যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে অলৌকিকতার কোনও ব্যাপার নেই। পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণ শক্তির ফলেই এটা হয়। এটা মানুষের অন্ধবিশ্বাস, দৈব শক্তির কোনও ব্যাপার নেই।