ভোট পর্বের মধ্যেই ২৫ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ! প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে FIR সিবিআইয়ের
বাংলায় ভোট চলছে। রাত পোহালেই চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোটের মুখে চাপ বাড়ল তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংয়ের। বেআইনিভাবে বাজার থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বাংলায় ভোট চলছে। রাত পোহালেই চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোটের মুখে চাপ বাড়ল তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংয়ের। বেআইনিভাবে বাজার থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
গত কয়েক বছর ধরে কে ডি সিংয়ের সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। ইতিমধ্যে কে ডি সিংকে একাধিকবার জেরাও করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। একদিকে বাংলায় যখন ভোট চলছে তখন নতুন করে চাপ বাড়ল প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতার।
কে ডি সিংয়ের বিরুদ্ধে নয়া এফআইআর
অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড মামলায় ফের কেডি সিংহের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হল। নতুন একটি মামলায় এই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার বিরুদ্ধে ২৫ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক সংস্থা খুলে ১৫ লক্ষ মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে। কেডি সিংহ ছাড়াও অ্যালকেমিস্টের ছয় জন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। লখনউতে এই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হেফাজতে কে ডি সিং
প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে ইডি। অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে। অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত মাসখানেক আগে তদন্তে অসহজগিতা করার অভিযোগে কে ডি সিংকে গেফতার করে ইডি।
বাজার থেকে তোলা টাকা প্রভাবশালীদের কাছে যায়
তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিং-এর সংস্থা অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে বাজার থেকে বেআইনিভাবে কোটি-কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকা একাধিক 'প্রভাবশালীর' কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এমনকী, সেই টাকা বিদেশেও পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা ইডি কর্তাদের। এই মামলার তদন্তে নেমে সংস্থার একাধিক কর্মী-আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ইডি। জেরা চলছে অ্যালকেমিস্ট কর্তা কেডি সিং-য়েরও। ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হন ব্যবসায়ী কে ডি সিং। ২০২০ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন তিনি। তবে ২০১৬ সালে নারদা কাণ্ড সামনে আসার পর তৃণমূলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক ছিল না।
নারদা-কান্ডেও নাম জড়িয়েছে কে ডি সিংয়ের
গত বিধানসভা ভোটের আগে একটি স্টিং অপারেশন প্রকাশ হয়। তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী,সাংসদ-বিধায়ককে ঘুষ নিতে দেখা যায়। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছেন কে ডি সিংয়ের। তৃণমূলকে ফাঁসাতে নাকি এই স্টিং করা হয়। বিষয়টির তদন্ত চলছে।