তফসিলি জাতি ও উপজাতি সমস্যা দূরীকরণে আসছে নতুন কমিশন
তফসিলি জাতি ও উপজাতি সমস্যা দূরীকরণে আসছে নতুন কমিশন
তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের সমস্যা সমাধানের জন্য দুটি নতুন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের ২৫ তারিখ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজ্য সরকার।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গল মহলের একাধিক জেলা যেমন পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিজেপির আগ্রাসন ঠেকাতেই তৃণমূলের এই নতুন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য জাতীয় কমিশনের নতুন বিধি অনুসারে রাজ্যের নতুন এসসি এসটি কমিশন পাঁচ সদস্যের একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা হবে। কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসাবে থাকবেন আইএএস পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। পাশাপাশি একাধিক পদে থাকবেন ডিআইজি র্যাঙ্কের আইপিএস কর্মকর্তারাও। এই কমিশন আগামীতে এসসি ও এসটি সম্প্রদায়ের মানুষের নানাবিধ সমস্যার কথা শুনবে ও আগামীতে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিকারের ব্যবস্থাও করবে।
এদিকে গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে বিজেপির উল্লেখযোগ্য উত্থান লক্ষ্য করা যায়। তারপরই ওই এলাকা গুলিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে নড়েচড়ে বসে তৃণমূল। একসময়ের মাওবাদীদের দুর্গে বামেদেরও ভালো প্রভাব লক্ষ্য করা যেত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে কিন্তু গত লোকসভা ভোটে সেই বৃহত্তর বাম ভোট ব্যংকই অক্সিজেন জোগায় বিজেপিকে। কিছুটা হলেও শক্তি ক্ষয় হয় তৃণমূলের। গোটা রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়লাভও করে গেরুয়া শিবির।জঙ্গলমহল সেখানে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।