বিজেপিতে সাংগঠনিক পরিবর্তন! আদি নব্যের লড়াইয়ে কারা গিয়েছেন ব্যাকফুটে
রাজ্য বিজেপিতে ভেঙে গেল দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh), সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের জুটি। কেননা অনেকেই মন্তব্য করেন, তাঁরা একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, রাজ্য সভাপতি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়
রাজ্য বিজেপিতে ভেঙে গেল দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh), সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের জুটি। কেননা অনেকেই মন্তব্য করেন, তাঁরা একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, রাজ্য সভাপতি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছেন, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে স্বপদে বহাল রাখতে। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি তা করতে পারেননি।
বাংলায় করোনা আক্রান্তের তুলনায় বাড়ল সুস্থতা! বিরামহীন মৃত্যু ও সংক্রমণ কলকাতা, উঃ ২৪ পরগনায়
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। যার অধিকাংশই ছিল অন্য দল বিশেষ করে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের তরফ থেকে। সংগঠনে তাঁদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ বারবারে করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ২০২১-এর নির্বাচনে সংগঠনে এমন অভিযোগ ওঠায় অন্যদল বিশেষ করে তৃণমূল থেকে আর কেউ আসতে চাইছিলেন না। যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলেই জানা গিয়েছে।
কাজে লাগল না দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি
সূত্রের আরও খবর, বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরানোর ব্যাপারে আগে ঠিক করে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যা আঁচ করতে পেরে দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শোনা যায় তিনি নাকি পদত্যাগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। যদিও সেই হুঁশিয়ারি কোনও কাজে লাগল না।
দিলীপের চাবি ছিল সুব্রতের হাতে
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ পুনরায় রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বর্তমান সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেছিলেন, দিলীপদা পুনরায় রাজ্য সভাপতি হলেও রাজ্য বিজেপির শেষ কথা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। উনি চাবি যে দিকে ঘোরাবেন, রাজ্য বিজেপি সেদিকেই ঘুরবে।
তৃণমূল থেকে আসা একের পর এক নেতাকে বিশেষ গুরুত্ব
সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা একের পর এক নেতাকে পদ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য মুকুল রায়। তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়। এছাড়াও, দীর্ঘদিন যুব মোর্চার সভাপতির পদে থাকা দেবজিত সরকারকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৯-এর ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সৌমিত্র খানকে। অন্যদিকে রাজ্য সভাপতির পদ সামলানো, পরে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা রাহুল সিনহাকে সরিয়ে সেই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনুপম হাজরা।
গুরুত্ব পাননি তথাগত রায়ও
ত্রিপুরার রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলে মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন এক সভাপতি তথাগত রায়। মনে করা হয়েছিল তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্য বিজেপিতে তাঁকে বড় পদ দেওয়া হবে আরএসএস-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত এই নেতাকে। যদিও এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। এই নেতাও তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া পছন্দ করেন না বলেই সূত্রের খবর।
বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য ২০২১-এ ক্ষমতা দখল
কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের একমাত্র লক্ষ্য হল বাংলায় ক্ষমতা দখল। সেটা যদি একনিষ্ঠ আরএসএস কিংবা বিজেপি কর্মীদের দিয়ে না হয়, তৃণমূলের সংগঠন ভাঙিয়ে নিয়ে আসা হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। তবে তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে যাঁরা বিজেপিতে আসতে চাইছেন, বা আসছেন, তাঁদের অনেকেই রাজ্যের পরিবর্তনের হাওয়ায় বাম শিবির থেকে তৃণমূলের শিবিরে এসেছিলেন।