পরপর দু’মেয়ে হওয়ায় নৃশংসকাণ্ড ঘটাল নিজের বাবা-মা'ই! এ কাহিনি গায়ে কাঁটা দেয়
১৫ দিনের একরত্তি মেয়ে। সে কি না পাঁচ দিন নিখোঁজ। তন্নতন্ন করেও খোঁজ মিলছিল না। শেষপর্যন্ত নিজের বাড়ির পুকুর থেকে ভেসে উঠল মেয়ের মৃতদেহ।
১৫ দিনের একরত্তি মেয়ে। সে কি না পাঁচ দিন নিখোঁজ। তন্নতন্ন করেও খোঁজ মিলছিল না। শেষপর্যন্ত নিজের বাড়ির পুকুর থেকে ভেসে উঠল মেয়ের মৃতদেহ। আর এই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশের হাতে যা তথ্য এল, তা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। নিজের কন্যা সন্তানকে বাবা-মা'ই পুকুরের পাঁকে পুঁতে হত্যা করেছিল।
নির্মম, নৃশংস এই খুনের ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সফিয়াবদ এলাকায়। শিশুটির বাবা-মা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর শিশুর দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানাতে পারে, পর পর দুবার কন্যা সন্তান হওয়ায়, শিশুটিকে পাঁকে পুঁতে খুন করা হল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয়েছে স্নাফার ডগ এনেও। অবশেষে বাড়ির পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার হল। এরপরই শিশুকন্যার বাবা শুভজিৎ পড়্যা ও তাঁর স্ত্রী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, দুবার মেয়ে হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভজিৎ। ১৫ দিন আগে তাঁর স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পাঁচদিন আগে হঠাৎ সেই শিশুকন্যা উধাও হয়ে যায়। পরিবারের দাবি, বড় মেয়েকে নিয়ে শুয়েছিল শুভজিৎ, ছোট মেয়েকে নিয়ে শুতে যায় শুভজিতের স্ত্রী সীমা। সকালে উঠে তাঁরা জানায় সীমার পাশে নেই শিশু কন্যা।
প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, শিশুটিক অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু কাঁথি থানার পুলিশের দফায় দফায় জেরার মুখে ধরা পড়ে কথায় নানা অসঙ্গতি। একাধিক অসঙ্গতি পেয়েই পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায়, এর পিছনে রয়েছে পরিবারের হাত। শেষমেশ বাবা-মায়ের এই অভিষন্ধি প্রকাশ্যে চলে আসে। দেহ উদ্ধারের পর সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে যায়। এবার কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই পরিবারের চালচলন দেখে সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগই শেষপর্যন্ত প্রমাণ হয়ে গেল, দেহ উদ্ধারের পর।