নেতাজির নাতিরও ঠাঁই হল না! বিজেপির সহ সভাপতি থেকে একেবারে ‘আউট’ চন্দ্র
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসুর। এমনকী তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে কিছুদিন আগেই অযোগ্য-অক্ষম বলেও তোপ দেগেছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসুর। এমনকী তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে কিছুদিন আগেই অযোগ্য-অক্ষম বলেও তোপ দেগেছিলেন। স্বভাবতই তারপর রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বাধীন রাজ্য কমিটিতে তাঁর স্থান হওয়ায় কথা নয়। হলও না তাই, রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়লেন চন্দ্র বসু।
ঠাঁই হল না বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্র বসুর
সোমবার বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল হল রাজ্য বিজেপিতে। দলীয় নেতৃত্বে নতুন মুখ নিয়ে আসা হল। সেখানে দলত্যাগী তৃণমূল নেতা, সিপিএম নেতাদের ভিড়। কিন্তু ঠাঁই হল না বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্র বসুর। নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে বিজেপিতে প্রবেশ তাঁর। তবু তিনিই অপসারিত হলেন পদ থেকে।
একেবারে কমিটি থেকে আউট হয়ে গেলেন চন্দ্র
সম্প্রতি বহু বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বিজেপির মতপার্থক্য হয়েছিল। তিনি রাজ্য বিজেপির সমালোচনা তো করেইছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীরও সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। এবার তাই তাঁর নাম বাদ পড়ল কমিটি থেকে। সহ সভাপতি হয়েও একেবারে কমিটি থেকে আউট হয়ে গেলেন তিনি।
দিলীপের তালিকায় নাম নেই নেতাজির নাতির
চন্দ্রকুমার বসু বিজেপির বেঙ্গল ইউনিটের ১২ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট বা সহ সভাপতিদের একজন ছিলেন। তবে সোমবার দলীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ যে সর্বশেষ তালিকা ঘোষণা করেলেন তাতে তাঁর নাম ছিল না। তাকে সংগঠনের কোনও পদ দেওয়া হয়নি।
বিজেপির সমালোচনার খেসারত দিলেন চন্দ্র
বেঙ্গল বিজেপির সূত্র জানিয়েছে যে, চন্র্ও বসুর দলবিরোধী ক্রিয়াকলাপের কারণে দলের রাজ্য নেতৃত্ব বিচলিত ছিল। বিভিন্ন বিষয়ে, যেমন- সিএএ ইস্যুতে বিজেপির আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে শুরু করে লকডাউন দ্বারা অভিবাসীদের দুর্দশার দিকে নজর দেওয়া পর্যন্ত নানা ইস্যুতে তিনি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করি, তোষামদ নয়
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কেউই তাঁর সাথে এই রদবদল সম্পর্কে আলোচনা করেননি। তিনি বলেন, "আমি নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করি। যদি কেউ এর বিরুদ্ধে যায় তবে আমি আওয়াজ তুলবই। আমি বৈষম্যমূলক নয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসীI আমি কয়েক মাস আগে বাংলায় দলের নেতৃত্বের কাছে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বলেছিলাম, যাতে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারি। কিন্তু তাঁরা আমাকে কোনও দায়িত্ব দেননি।
যাঁরা নতুন স্থান পেলেন সাংগঠনিক রদবদলে
উল্লেখ্য, মুকুল ঘনিষ্ঠ বিধানগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগ দিয়ে সম্পাদক পদ পেয়েছেন। অর্জুন সিং হয়েছেন সহ সভাপতি। সৌমিত্র খাঁ হয়েছেন যুব মোর্চার সভাপতি। আর একুশের বিধানসভার আগে সাংগঠনিক রদবদলে প্রোমোশন হল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ ছেড়ে হলেন সাধারণ সম্পাদক। উল্লেখ্য, লকেটও একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষও পেয়েছেন সহ সভাপতির পদ। স্থান পেলেন সিপিএম ছেড়ে আসা মাফুজা খাতুন, খগেন মুর্মু এ কংগ্রেস ছেড়ে আসা দুলাল বরও।