চৌরঙ্গিতে নয়না, বসিরহাটে দীপেন্দুকে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস
বাংলা সিনেমার নামজাদা অভিনেত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। এ বার তাঁকে ফের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সাংসদ তথা মমতার ছায়াসঙ্গী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী।
বসিরহাট দক্ষিণে দল প্রার্থী করছে ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে। তিনি বসিরহাটের লোক বলেই তাঁকে সেখানে দাঁড় করানো হচ্ছে। যদিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন, রাজ্য কমিটি নয়, তাঁরাই প্রথম দীপেন্দু বিশ্বাসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
উপনির্বাচনে শাসক দলের পক্ষে কতটা হাওয়া বইছে?
এক কথায় এর উত্তর মিলছে না। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিত যে, দু'টি আসনেই তারা জিতবে। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এ বার লড়াই এতটা সহজ হবে না।
লোকসভা ভোটে বসিরহাট দক্ষিণ আসনে ৩০,২২৩ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি
প্রথমত, লোকসভা ভোটে বসিরহাট আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী ইদ্রিশ আলি। বসিরহাট লোকভার অন্তর্গত বসিরহাট দক্ষিণ আসনে কিন্তু তিনি ৩০,২২৩ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। বামফ্রন্ট নয়, বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের কাছে তিনি পিছিয়ে পড়েন। এ বার সেই শমীকবাবুকেই বিজেপি প্রার্থী করবে বলে খবর। ফলে লড়াইটা হবে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপি। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থী নারায়ণ মুখোপাধ্যায় এখানে জিতেছিলেন। নারায়ণবাবুর মৃত্যুতে আসনটি খালি হওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু এ বার সিপিএম এখানে সুবিধা করতে পারবে না বলেই মনে হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, চৌরঙ্গিতেও এক ছবি। এখানে শাসক দলের পাল্টা শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে হিন্দিভাষী ভোটাররা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় বিজেপি অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছে। বিজেপি নেতা তথাগত রায় কিংবা সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রদীপ ঘোষ প্রার্থী হতে পারেন বলে খবর।
দুই আসনেই ভোট ১৩ সেপ্টেম্বর। বিজেপি নেতারা চেষ্টা করছেন দু'জায়গাতেই নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে সভা করানোর। কারণ মোদী-হাওয়াতে ভর করেই লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে আশাতীত ভালো ফল করেছে বিজেপি। এ বারও সেই হাওয়া তুলতে চাইছে তারা।