মমতার রাজ্যে ক্ষমতা প্রদর্শন বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির! বিপাকে নিত্যযাত্রীরা
দেশব্যাপী পরিবহণকর্মীদের ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে এই রাজ্যেও। কলকাতায় সেরকম কোনও প্রভাব না দেখা গেলেও, কোচবিহার থেকে দুর্গাপুর সর্বত্রই সকাল থেকে বন্ধ বেসরকারি পরিবহণ।
দেশব্যাপী পরিবহণকর্মীদের ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে এই রাজ্যেও। কলকাতায় সেরকম কোনও প্রভাব না দেখা গেলেও, কোচবিহার থেকে দুর্গাপুর সর্বত্রই সকাল থেকে বন্ধ বেসরকারি পরিবহণ। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। মোটর ভেহিকেলস বিলের বিরোধিতায় পরিবহণকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
দেশে ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিকেলস আইন সংশোধনের জন্য লোকসভায় ইতিমধ্যেই বিলটি পাশ হয়ে গিয়েছে। তবে তা রাজ্যসভায় এখনও পাশ হয়নি। পরিবহণকর্মীদের অভিযোগ, বিলটি পাশ হয়ে গেলে সব থেকে বেশি অসুবিধায় পড়বেন তাঁরা। বিলটি পাশ হয়ে গেলে মোটর ভেহিকেলস আইন আগের থেকে আরও কড়া হবে। আগের থেকে জরিমানার পরিমাণও বেশি হবে। ফলে ধুঁকতে থাকা পরিবহণ শিল্প আরও রুগণ হয়ে পড়বে। এছাড়াও পরিবহণ ক্ষেত্রে রাজ্যের বেশ কিছু ক্ষমতাও কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে বলে অভিযোগ পরিবহণকর্মীদের।
প্রস্তাবিত মোটর ভেহিকেলস বিল প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস ও বামপন্থী বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে সিপিএম-এর শ্রমিক সংগঠন সিটু।
পরিবহণকর্মীদের ধর্মঘটের জেরে কোচবিহার, শিলিগুড়ি কিংবা ইসলামপুর, সব জায়গাতেই বাসস্ট্যান্ডগুলি ফাঁকা। বেসরকারি বাস চলছে না। আর সরকারি বাসও হাতে গোনা। ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিনে বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
একই চিত্র দক্ষিণবঙ্গে দুর্গাপুর, আসানসোল, বাঁকুড়া, আরামবাগ কিংবা শ্রীরামপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তায় নেই বেসরকারি বাস।
এদিন সাঁতরাগাছি থেকে কলকাতায় আসতে গিয়েই বিপাকে পড়েন বহু যাত্রী। বেসরকারি বাস না থাকায় সরকারি বাসগুলিতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়।