মহাকাশে হাঁটছেন দুই মহিলা মহাকাশচারী! নাসার ইতিহাস সৃষ্টির ভিডিও মুহূ্র্তে ভাইরাল
দুই মহিলা নভশ্চর স্পেসওয়াক করছেন। নাসার উদ্যোগে তৈরি হল নয়া ইতিহাস। এর আগে কোনও মহিলা নভশ্চর যখন স্পেসওয়াক করেছেন তখন সঙ্গে ছিলেন কোনও না কোনও পুরুষ নভশ্চর। এই প্রথম দুই মহিলা নভশ্চর একসঙ্গে মহাকাশে হাঁটলেন। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র নাসার উদ্যোগ নজির সৃষ্টি করল।

দুই মহিলা মহাকাশচারীকে গুরুদায়িত্ব
মহাকাশচারী ক্রিশ্চিনা কচ ও জেসিকা মেয়ারের উপর দায়িত্ব পড়েছিল স্পেস স্টেশনের একটি বিকল ব্যাটারি চার্জার পাল্টানোর। সেই গুরুদায়িত্ব পালন করলেন দুই বীরাঙ্গনা। নাসার দুই মহিলা নভশ্চর স্পেসস্যুট পরে মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে এসে ব্যাটারি চার্জার বদলে দিলেন।
|
১১ মিনিট অন্তর বেরিয়ে এলেন দুই নভশ্চর
প্রথমে ক্রিশ্চিনা কচ ৭টা ৩৮ মিনিট নাগাদ মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে আসেন। ১১ মিনিট পর অর্থাৎ ৭টা ৪৯ মিনিটে বেরিয়ে আসেন জেসিকা মেয়ার। সেই কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করে তাঁরা ফের মহাকাশ কেন্দ্রে ফিরে যান। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে এই কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
|
সাত ঘণ্টা ধরে স্পেসওয়াক
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাঁরা সমস্ত কাজ সেরে ফলতে সমর্থ হননি। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও মেরামতির সংক্রান্ত কিছু কাজ করেন। মোট সাত ঘণ্টা ধরে তাঁরা স্পেসওয়াক করেন। টুইটারে সেই স্পেসওয়াকের ভিডিও পোস্ট করে নাসা দাবি করে- ইতিহাস সৃষ্টি হল। এই কীর্তিকে 'ওয়ান জায়ান্ট লিপ ফর ওম্যানকাইন্ড' বলে ব্যাখ্যা করেন মার্কিন রাজনীতিবিদ ক্যাথরিন ক্লার্ক।

১৫ জন মহিলা নভশ্চর মহাশূন্যে ভেসেছেন
এখন পর্যন্ত ১৫ জন মহিলা নভশ্চর মহাশূন্যে ভেসে কীর্তি স্থাপন করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলা নভশ্চরের সঙ্গে ছিল কোনও পুরুষ নভশ্চর। নাসার বিশেষজ্ঞরা জানান, আগেও দুই মহিলাকে একসঙ্গে স্পেসওয়াক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মহিলাদের শারীরিক গঠনের জন্য সঠিক মাপের স্পেসস্যুটের অভাবেই এই সমস্যা হয়। বর্তমানে মহিলা নভশ্চরের জন্য নতুন ধরনের স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছে। তারপরই সম্ভব হয়েছে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।