বণিকসভাতেও মোদীর টার্গেট ২১-এর বাংলা! রাজ্যের মন জয় করতে পাঠ করলেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা
চলায় চলায় বাজবে জয়ের ভেরী-পায়ের বেগেই পথ কেটে যায়, করিস নে আর দেরি। কবিগুরু রবি ঠাকুরের এই লেখাই আমাদের অনুপ্রেরণা। এদিন ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের ৯৫ তম বার্ষিক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই বাংলার মানুষের মন জয় করতে উদ্যত হলেন নরেন্দ্র মোদী।
পাট উৎপাদনকে পুনরায় জীবত করার পক্ষে সওয়াল মোদীর
এদিনের সভায় পশ্চিমবঙ্গে পাট উৎপাদনকে পুনরায় জীবত করার পক্ষে সওয়াল তুলে ব্যবসায়ীদের প্রতি আবেদন রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী কি পরিকল্পনার কথা বলেন, সেদিকেই ছিল সকলের নজর। এদিন নিজের বক্তব্য বাংলায় শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, এই চ্যালেঞ্জ পেরোবে যে, সে সত্যিকারের বিজয়ী। স্বামী বিবেকানন্দের বাণী করোনা পরবর্তী বিশ্বের অনুপ্রেরণা বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা-আম্ফান-পঙ্গপাল একের পর এক চ্যালেঞ্জ দেশের
এদিন মোদী বলেন, 'দেশ এখন একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে। করোনা-আম্ফান-পঙ্গপাল একের পর এক চ্যালেঞ্জ। এইসব চ্যালেঞ্জকে পেরিয়ে আমরা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব। পরিস্থিতি আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ যে পার করতে পারবে, সেই সত্যিকারের বিজয়ী হবে।'
রাজ্যের পাট শিল্পকে ফের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা
এরপর রাজ্যের পাট শিল্পকে ফের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হিসাবে তিনি বলেন, 'মুশকিলের সময় নিজেকে মজবুত করে গড়ে তুলতে হবে। পরিবারে কেউ সাবালক হলে আমরা বলি, নিজের পায়ে দাঁড়াও। অন্য দেশের উপর নির্ভরতা যতটা সম্ভব কমানোই এখন লক্ষ্য। তাই আমি বলতে চাই যে প্লাস্টিক ছেড়ে প্যাকেজিং শিল্পে চটের ব্যাগ চালু হলে লাভ চটশিল্পের।'
বাংলায় তৈরি পাটের ব্যাগ সারা দেশে ছড়াক
তিনি আরও বলেন, 'সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। এর ফলে বিশেষ করে বাংলার উন্নতি হবে। কারণ সেখানে পাটের সামগ্রী বেশি তৈরি হয়। বাংলায় তৈরি পাটের ব্যাগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে, সকলে ব্যবহার করলে বাংলার মানুষের উন্নতি হবে।'
বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে আত্মনির্ভর করে তুলতে নয়া দাওয়াই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর