জয় শ্রীরাম নয়, জয় হিন্দেই সমর্থন! নেতাজি-জয়ন্তীতে ‘বহিন’ মমতার পাশে মোদী
নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। ভিক্টোরিয়া হাউসের সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা রাখতে উছতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত হল অনুষ্ঠানস্থল। অপমানে বক্তব্য রাখলেনই না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নরেন্দ্র মোদী বুঝিয়ে দিলেন, জয় শ্রীরাম নয়, জয় হিন্দেই তাঁর সমর্থন।

নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছিন বর্ণময়। কিন্তু মাঝে শুধু একটিবারই সুর কেটে যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় জয় শ্রীরাম স্লোগানে। উপস্থিত দর্শকরা পরিকল্পিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় পড়ে যায়। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য না রেখেই শুধু ধন্যবাদ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নেমে যান পোডিয়াম থেকে।
মমতা বলেন, এটা সরকারি অনুষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। তাই সেই সৌজন্যটুকু রাখা উচিত। আমন্ত্রণ করে কাউকে অপমান করা উচিত নয়। তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠলেও মঞ্চ ছেড়ে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শেষপর্যন্ত মঞ্চেই ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিন বলে সম্বোধন করেন। তিনি বক্তব্য রাখতে পোডিয়ামে উঠতে ফের একদল স্লোগান দিয়ে ওঠেন। এবার অবশ্য জয় শ্রীরাম স্লোগান নয়। স্লোগান ওঠে, ভারত মাতা কি জয়। মোদী অবশ্য সেই স্লোগানে তাল মেলাননি। তিনি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে এসে নেতাজির তৈরি স্লোগানই দেন।
মোদী তিনবার জয় হিন্দ স্লোগান দিয়ে বুঝিয়ে দেন, আজকের স্লোগান জয় শ্রীরাম নয়। বিশেষ দিনে বিশেষ মানুষের স্লোগানই দিতে হয়। তাই তিনি শুরু থেকে শেষ জয় হিন্দ স্লোগান তোলেন। মমতার পাশাপাশি মোদীও নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু আয়োজকের পক্ষ থেকে কেউ ক্ষমাপ্রার্থী হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।