কাশ্মীরের উদাহরণ টেনে ফের তোপ মমতাকে, বঙ্গে গেরুয়া ঝড় তুলতে ঝোড়ো ব্যাটিং মোদীর
এদিন জম্মু ও কাশ্মীরে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মঞ্চ থেকেও এদিন বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী। আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বাংলাকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন দেশজুড়ে আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুফল তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

মমতাকে পরপর আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি
বঙ্গ রাজনীতিতে গেরুয়া ঝড় তুলতে সাধারণ মানুষের চাহিদার ইস্যুটিকে তুলে ধরছে বিজেপি। সেই পথে হেঁটেই কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে চালু না করতে দেওয়ায় মমতাকে পরপর আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। সেই আক্রমণে এবার সরাসরি ক্রিজে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাধারণ মানুষের হয়ে মমতার বিরুদ্ধে ব্যাট ধরে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ভঙ্গিতে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী।

'বাংলার সরকার প্রকল্প চালু করে নি'
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী মমতাকে সরাসরি খোঁচা দিয়ে বলেন, 'চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লি সর্বত্র চিকিৎসা করাতে পারবেন। শুধু কলকাতাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। কারণ, বাংলার সরকার এই প্রকল্প চালু করে নি। কী করা যাবে, কিছু মানুষ বুঝতে চায় না।' এদিন মোদী আরও বলেন, 'একটা সময় কাশ্মীরের সরকারের অংশ ছিলাম আমরা। কিন্তু পরে সেই জোট তা ভেঙে দিই। কারণ আমরা চেয়েছিলাম এখানে পঞ্চায়েত স্তরের নির্বাচন হোক।'

কিষাণ নিধি নিয়ে রাজ্যকে বিঁধেছিলেন মোদী
এর আগে কিষাণ নিধি নিয়ে রাজ্যকে বিঁধেছিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর চলছেই। কৃষিকল্যাণের এই প্রকল্প রাজ্য সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় কেন্দ্রের সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা।

পাল্টা তোপ দেগেছে রাজ্য সরকারও
সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। পাল্টা তোপ দেগেছে রাজ্য সরকারও। কেন্দ্রকে কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, দেশের চাষিদের কল্যাণে এই প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্পটি চালু হয়। প্রকল্প বলে চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিবছর ৬ হাজার টাকা পাঠায় কেন্দ্র। তিনটি ইনস্টলমেন্টে এই টাকা পাঠানো হয়।

দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে
কেন্দ্রীয় সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২৫ ডিসেম্বরের প্রদত্ত রাশি প্রকল্পের সপ্তম ইনস্টলমেন্ট। এই নিয়ে এক লাখ দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। চাষযোগ্য জমি আছে নামে, এমন চাষিরা এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারেন। তা সে শহরাঞ্চল বা গ্রামীণ, কৃষক যে এলাকারই বাসিন্দা হোন না কেন।