নেতাজির প্রেরণায় আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ফেরি মোদীর
নেতাজি সুভাষের স্বপ্ন ছিল আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে সোনার বাংলা গড়ে তোলা। নেতাজির প্রেরণাতেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাকেও আরও উন্নততর করে তুলতে হবে।
নেতাজি সুভাষের স্বপ্ন ছিল আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে সোনার বাংলা গড়ে তোলা। নেতাজির প্রেরণাতেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাকেও আরও উন্নততর করে তুলতে হবে। নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তীতে বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার জয়গান গাইলেন বাংলা ভাষাতেই।
নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া হাউসের সরকারি অনুষ্ঠানে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলাতে বক্তব্য রাখলেন। মোদী বললেন, নেতাজির চরণে মাথা নত রাখছি। এই ভূমির লাখো লাখো মহামানবকে প্রণাম। পরাক্রম ও প্রেরণার প্রতীক ছিলেন নেতাজি। তাই নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে পরাক্রম দিবস পালন করা হবে। এবছরই কালকা মেলের নাম নেতাজি এক্সপ্রেস রাখা হয়েছে।
মোদী বলেন, নেতাজি বলেছিলেন ভারত ডাকছে নষ্ট করার মতো সময় নেই। সেই নেতাজিই লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। দরিদ্র ও অশিক্ষা দূরীকরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন বাইরে থেকে আক্রমণ করলেই দুর্বল হবে ব্রিটিশদের। বিশ্বযুদ্ধের জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন। দেশমাতৃকাকে শৃঙ্খলমুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন বিশ্বযুদ্ধকালে।
মোদী বলেন, নেতাজির নামেই সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। এই বাংলা বহু মহামানবের পুণ্যভূমি। এই মাটিকে প্রণাম জানাই। এই বাংলার বীর সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র যেমন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখিয়ছিলেন, তেমনই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় স্তোস্ত্রও এই ভূমিতে জন্ম নেওয়া মহামানবের কীর্তি। তিনি এদিন সম্মানের সঙ্গে ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম নেন।
নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মাঝে শুধু একটিবারই সুর কেটে যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠতেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শকরা। তিনি এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য না রেখেই শুধু ধন্যবাদ দিয়ে নেমে যান পোডিয়াম থেকে। বলেন, আমন্ত্রণ করে কাউকে অপমান করা উচিত নয়। তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, এটা সরকারি অনুষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। তাই সেই সৌজন্যটুকু রাখা উচিত। তিনি পোডিয়াম ত্যাগ করেন। তবে মঞ্চ ছেড়ে যাননি। তিনি শেষপর্যন্ত মঞ্চেই ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিন বলে সম্বোধন করেন।
নরেন্দ্র মোদী বক্তব্যা রাখতে পোডিয়ামে উঠতেই ফের একদল স্লোগান দিয়ে ওঠেন। এবার অবশ্য জয় শ্রীরাম স্লোগান নয়। স্লোগান ওঠে, ভারত মাতা কি জয়। মোদী অবশ্য সেই স্লোগানে তাল মেলাননি। তিনি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে এসে নেতাজির তৈরি স্লোগানই দেন। মোদী বলেন জয় হিন্দ। বুঝিয়ে দেন, আজকের স্লোগান জয় হিন্দ।