'করোনাকালে ভারত যেভাবে বিশ্বকে সাহায্য করছে তাতে গর্বিত হতেন নেতাজি!'
'আমাদের সংকল্প আত্মনির্ভর ভারত গড়ার। আমাদের ভারত এগিয়ে চলুক। আমাদের দেশ এখন যেভাবে এগোচ্ছে, যেভাবে দেশ আত্মনির্ভর হচ্ছে, তা দেখলে নেতাজি কত খুশি হতেন।' এদিন নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী। এদির প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'এই অতিমারীর সময় ভারত যেভাবে বিশ্বকে সাহায্য করছে তাতে গর্বিত হতেন নেতাজি।'
এই ঋণ কি মেটানো সম্ভব?
তিনি আরও বলেন, 'আজ যদি নেতাজি দেখতেন দেশের সেনা এমন অত্যাধুনিক অস্ত্রসামগ্রী ব্যবহার করছেন তাহলে তাঁর কেমন লাগত।' বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেতাজির আদর্শই ছিল আত্মনির্ভর হওয়া। দেশবাসী নেতাজির কাছে ঋণী। এই ঋণ কি মেটানো সম্ভব?' মোদী বললেন, 'নেতাজির চরণে মাথা নত রাখছি। এই ভূমির লাখো লাখো মহামানবকে প্রণাম। পরাক্রম ও প্রেরণার প্রতীক ছিলেন নেতাজি।'
নেতাজির নামেই সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে যায়
মোদী বলেন, 'নেতাজির নামেই সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। এই বাংলা বহু মহামানবের পুণ্যভূমি। এই মাটিকে প্রণাম জানাই। এই বাংলার বীর সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র যেমন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখিয়ছিলেন, তেমনই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় স্তোস্ত্রও এই ভূমিতে জন্ম নেওয়া মহামানবের কীর্তি। তিনি এদিন সম্মানের সঙ্গে ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম নেন।'
বিশ্বযুদ্ধের জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন
এদিন মোদী আরও বলেন, 'নেতাজি বলেছিলেন ভারত ডাকছে নষ্ট করার মতো সময় নেই। সেই নেতাজিই লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। দরিদ্র ও অশিক্ষা দূরীকরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন বাইরে থেকে আক্রমণ করলেই দুর্বল হবে ব্রিটিশদের। বিশ্বযুদ্ধের জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন। দেশমাতৃকাকে শৃঙ্খলমুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন বিশ্বযুদ্ধকালে।'
নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিপত্তি
নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিপত্তি৷ শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেখানেই বিপত্তি ঘটে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেওয়া বাতিল করলেন ক্ষোভে৷ ফলে এই নিয়ে হইচই পড়ে যায়৷ কী হলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাষণ দেওয়ার জন্য নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের আসনে ফিরে আসেন৷