মমতার হয়ে প্রচার করছেন স্বয়ং মোদী! রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থানে সাফল্যের নজির
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন, যত বৈরিতাই থাকুক, কাজ করলে পুরস্কার পাওয়া থেকে কেউই আটকাতে পারে না।
রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে সাফল্যের পুরষ্কার পেল রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন, যত বৈরিতাই থাকুক, কাজ করলে পুরস্কার পাওয়া থেকে কেউই আটকাতে পারে না। সেইমতোই দেশের সেরা হয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পে আরও ৯০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ পেল বাংলা।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক বর্তমান আর্থিক বছরে শেষ দু'মাসের জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্যের জন্য। ফলে এই টাকায় আরও তিন কোটি শ্রম দিবস তৈরি করা যাবে। রাজ্যে ৫০ লক্ষ পরিবারকে আরও ছ'দিন করে বাড়তি কাজ দিতে পারবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। রাজ্যের দুই গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনায় এই বরাদ্দের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন কেন্রীন য় গ্রামোন্নন সচিব অমরজিৎ সিনহা।
পঞ্চায়েতের আগে কেন্দ্রের দেওয়া এই পুরস্কার রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেক এগিয়ে রাখবে। রাজ্যের সাফল্যে কেন্দ্রের স্বীকৃতিই এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিজেপি গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। দেশের মধ্যে সেরা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তারপর কেন্দ্রীয় সরকার সেই সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ দু'মাসের জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই টাকায় ঢালাও কাজ দিতে পারবে একশো দিনের কাজের কর্মীদের।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'কাজ করলে তার ফল মেলে। একশো দিনের কাজের সাফল্যই তার প্রমাণ। আমাদের সাফল্যের প্রচার এখন করছেন মোদিজিই। সাফল্যে পেয়েছে বলেই বাধ্য হচ্ছে রাজ্যকে স্বীকৃতি দিতে। বাড়তি বরাদ্দ না দিয়ে আর উপায় ছিল না কেন্দ্রের।'
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, '১০০ দিনের প্রকল্প অনুযায়ী কাজ চাইলে দিতে বাধ্য সরকার। এই প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে এখনও বিপুল টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা এখনও মেটায়নি। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, সেই দায় রাজ্য নেবে কেন?' রাজ্যে এ বছর ৪৯.৯৩ লক্ষ পরিবার কাজ পেয়েছে। কাজ করছেন ৭৪-৪১ মানষ। বাম জমানায় ৪০-৪৫ লক্ষের মধ্যে থাকত এই সংখ্যাটা। এ বছর কাজ দেওয়া হয়েছে পরিবার পিছু ৫০ দিন। অন্ধ্রপ্রদেশ ও রাজস্থানের মতো রাজ্যকে পিছনে ফেলে সেরা হয়েছে বাংলা।